ঢাকা-২ আসনে নৌকার মাঝি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-২ (কামরঙ্গীরচর-সাভার-কেরাণীগঞ্জ) আসনে নৌকার মাঝি হয়েছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা অ্যাড. কামরুল ইসলামকে বিজয়ী করতে আসনটির নেতাকর্মীরাও একজোট হয়ে কাজ করছেন।

সব সময় এলাকার মানুষদের সঙ্গে থাকা মানুষ কামরুল হাসান শিক্ষাখাত, স্বাস্থ্যসেবার মান, বেকার সমস্যার সমাধান করেছেন। সামাজিক সংস্কারণের আছে তার মুনশিয়ানা। ধর্মীয় সংস্কৃতিতে অনন্য নজির দেখিয়েছেন। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন সব সময়। করেছেন পথসভা ও উঠান বৈঠক। এলাকার নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন সব সময়।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এবং আমরা বিশ্বাস করি নৌকার জোয়ার এবার আসবেই। উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাই, নৌকার জন্য ভোট চাই। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা কামরঙ্গীরচর-সাভার-কেরাণীগঞ্জের মানুষে পাশে থাকতে চাই।

কামরাঙ্গীরচরে তিনি উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অর্ন্তভুক্তকরণ (৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড), শেখ জামাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত, স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় ৬টি নতুন ভবন নির্মাণ, কামরাঙ্গীর চরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন, স্কুল কলেজে ৩টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, প্রায় ৯৯ কিলোমিটার রাস্তা, ৯৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন ও তিন কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ, ১৫ একর জমির উপর ৩১ শয্যা বিশিষ্টি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ, বেজমেন্ট সহ ৫ তলা বিশিষ্ট অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম কমিউনিটি সেন্টার ও মার্কেট নির্মাণ, সমগ্র কামরাঙ্গীর চরে ছিন্নমূল মানুষের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

সাভারের কম উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। অনেকে কাজের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ ও মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে ১২টি, তেতুলঝড়া ডিগ্রী কলেজ এমপিও ভুক্তকরণ, প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৩৪টি সড়ক নির্মাণ চলমান, ৩টি সেতু নির্মাণ চলমান, আমিন বাজার কবরস্থানের সংস্কার, হেমায়েতপুরের মুক্তিযোদ্ধ ভাস্কর্য স্থাপন।
এ ছাড়া কেরাণীগঞ্জেও নানামুখী উন্নয়ন করেছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। যার মধ্যে- ৪৪টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, ৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ চলামান, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে ৪০টি, ১টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি কলেজ জাতীয়করণ, তারানগরে দেশের প্রথম ইসলামিক আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে, স্কুল ও কলেজ এমপিও ভুক্তকরণ হয়েছে ৬টি, স্কুল ও কলেজে ২টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এছাড়া বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে আইসিটি ল্যাপ স্থাপন, ১৯৪টি নতুন সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন, ছোট বড় ৩৯টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ, জিডিপি থ্রি প্রকল্পেও আওতাধীন ৫০টি সড়ক কাজ চলমান ও ৩টি সেতু নির্মাণ চলমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, উপজেলা প্রশাসনিক ভবন এবং ভূমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ চলমান, কোরাণীগঞ্জ মডেল টাউন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন, ঘাটারচরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনসহ আরো অনেক কাজ।

উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা-২ আসন (কামরঙ্গীরচর-সাভার-কেরাণীগঞ্জ) থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা।