মৌমাছি আক্রমনের আতঙ্কে সাজালেরচর কেন্দ্রের ভোটাররা

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের একটি কেন্দ্র ৬৮নং সাজালেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এইকেন্দ্রে দুইটি গ্রামের ভোটাররা এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কিন্তু দ্বিতল এই প্রাথমিকবিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ২৪টি মৌচাক থাকায় মৌমাছি আক্রমনের আতঙ্কের য়েছেন ভোটাররা।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা শামসুজ্জামানসেলিম সহ এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এইকেন্দ্রে চিনারচর ও পেঁচারচর এই দুই গ্রামের ৪ হাজার ৬শ জন ভোটার ভোট দিবেন। ভোটের দিন যদিকেউ মৌচাকে ঢিল ছুড়ে বা কোন ভাবে মৌমাছিদের বিরক্ত করে তাহলে ভোটারদের একযোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহন বাধাগ্রস্ত ও কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে পারে।

স্থানীয় প্রকৃতি সচেতন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোখলেসুর রহমান জানান, এইবিদ্যালয় ভবনে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ২৪টি মৌচাক ছিল। আমি গত ২৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে আসি। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। তারপর আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মৌমাছি তাড়ানো ও মৌচাক নষ্ট করা হয়। এতে করে কয়েক লক্ষ মৌমাছি মারা যায়। তারপর সাময়িকভাবে বাকি মৌমাছিগুলো উড়ে গেলেও পরে আবার আস্তে আস্তে মৌমাছিরা নতুন করে দেয়ালে বসতে থাকে। এখন বিদ্যালয় ভবনে ১১টি ও আশেপাশের গাছে আরো ২টি মৌচাক তৈরি করে সেখানে আশ্রয় নেয় মৌমাছিরা।

এ নিয়ে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এভাবে মৌচাক নষ্ট করায় মৌমাছিরা তাদের আবাস, বাচ্চা ও মধু হারিয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে এবং যে কোন সময় আক্রমন করতে পারে। স্থানীয় ভোটাররা এই কেন্দ্রটি পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক নিয়মে মধু আহরণ, মৌমাছি ও মৌচাক অপসারনের দাবি জানিয়েছেন।

জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ কবীর বলেন, এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।