রাজশাহী-১ আসনে ৭৬ শতাংশ মানুষ নৌকার বিজয় চাই

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার প্রায় ৭৬ শতাংশ মানুষ এমপি হিসেবে নৌকা সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী তথা নৌকার বিজয় চাই। আর বাকি ২৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে ১৯ শতাংশ ধানের শীষ বিএনপি তবে এদের মধ্যে আবার ১১ শতাংশ ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিকল্প নেতৃত্বর পক্ষে এছাড়াও ৩ শতাংশ লাঙ্গল বাকিরা অন্যান্যদের চাই।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ২৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তানোর উপজেলার কলমা, কাঁমারগা, বাধাইড়, পাঁচন্দর ও মুন্ডুমালা পৌরসভা এবং গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ, মোহনপুর, পাকড়ী, কাঁকনহাট পৌরসভা ও রিশিকুল ইউপিরবি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় তিনহাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রের দাবি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধূরী নৌকা প্রতিক নিয়ে এবার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হবেন। প্রার্থীর পারিবারিক ঐতিহ্য, উন্নয়নের মানসিকতা, আর্থিক অবস্থা, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, কর্মী-জনবান্ধব, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ইত্যাদি বিবেচনায় এই অঞ্চলে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে এখানো এমপি ফারুকের আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও (সাবেক) শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুকচৌধূরী (এমপি) দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে ‘ফারুক ভাই’ বলে পরিচিত, সবার কাছে তিনি একজন সৎ রাজনীতিকের প্রতিকৃতির মডেল। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ রাজনীতিতে সৎ নেতার উদাহারণ দিতে গিয়ে সবার আগে ফারুক চৌধূরির নামটি উচ্চারণ করেন।

এ ছাড়াও সৎ রাজনৈতিক নেতার মডেল হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ব্যক্তি জীবনে তিনি যেমন বিলাস-প্রচার বিমূখ সাদামাটা, তেমনি সরস কৌতুক প্রিয়, কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও সর্ব মহলে প্রশংসিত। এসব বিবেচনায় সাধারণের কাছে থেকে তিনি পেয়েছেন গণমানুষের নেতার উপাধী। তাড়াও রাজনৈতিক সহাবস্থান ও গণমানুষের নেতা হিসেবে এখানো তিনি সর্ব মহলে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। এখানো তাঁর বাড়িতে গিয়ে অন্তত্ব এককাপ চা অথবা মিষ্টি খাননি, নির্বাচনী এলাকায় এরকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। এমনকি বিরোধীমতের রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীসমর্থকরা‘ফারুক ভাই’ সম্বোধন করে খুব সহজেই তার কাছে যে কোন সমস্যা তুলে ধরে সহযোগীতা চাইতে পারেন।

তিনিই প্রথম এই অঞ্চলে রাজনৈতিক সহবস্থান সৃস্টি করে জনমনে পরম স্বত্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি কখনই সাধারণ মানুষে নিয়ে কুটিল বা নোংরা রাজনীতি করেন না। অবার অনেকে রাজনীতিতে এসে ব্যবসায়ী হয়েছে আর এমপি ফারুক রাজশাহী অঞ্চলের সফল ব্যবসায়ী (শিল্পপতি, সিআইপি) থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। এমপি ফারুকের অবৈধ অর্থলিপসা না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সঙ্গেতার আকাশ-পাতাল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক দিকে তিনি এগিয়ে এবং নেতিবাচক-বির্তকিত কর্মকান্ডে ব্যারিস্টার আমিনুল এগিয়ে রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তায় ব্যারিস্টার আমিনুলের থেকে এমপি ফারুক যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ীর রাজনীতির ইতিহাসে সব সময় সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা এলাকাকে অশান্ত করে রাখতেন, অথচ আওয়ামীলীগের সরকার গঠনের একটানা দ্বিতীয় মেয়াদও পূর্ণ হয়েছে কিন্তু এখানো এখানে ভিন্ন চিত্র পরি লক্ষিত হচ্ছে। এমপি ফারুকের প্রচেস্টায় রাজনৈতিক সহাবস্থান সৃষ্টি হওয়ায় রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান হয়নি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে এতে রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা-মোকর্দমার সংস্কৃতি পরিহার হয়েছে।

অথচ তানোর-গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি ও জামায়াত এক সময় সহিংস রাজনীতির পথে হেঁটে এখানকার শান্তিময় পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছিল। কিন্তু এমপি ফারুকের রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ওপ্রচেস্টায় রাজনৈতিক সহবস্থান সৃষ্টি করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগীতা থাকলেও তাতে সহিংসরুপ নেই, নেই হানাহানি।

পক্ষান্তরে বিরোধীদলের ওপর সরকারী দলের অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানোর সেই করুণ ইতিহাস এখন কেবলই দুঃসহ স্মৃতি। তানোর-গোদাগাড়ী এখন বিরোধীদল বিনা বাধায় নির্বিঘ্নে তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিককর্মসূচি পালন করতে পারছে। অথচ বিএনপি-জামায়াত আমলে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের মূখে বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছে। মিথ্যা মামলায় বহু নেতাকর্মী মাসের পরমাস কারা বরণ করেছে। তাদের অনেকেরই নিকট আত্মীয়-স্বজনের মূত্যুর পর জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। আন্দোলন কর্মসূচি তো দুরের কথা জাতির জনক ও স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও রমজানে ইফতারের অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি আওয়ামী লীগকে।

বর্তমানে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিরোধীদলের কোনো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা কিংবা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। এরকম একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্তনা হওয়ায় বিএনপি ক্ষমতায় না থেকেও দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দ্বল, মতবিরোধ ও অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিজান গ্রুপ-মালেক গ্রুপ , মফিজ গ্রুপ-প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ-এমরান মোল্লা গ্রুপ ইত্যাদি একাধিক গ্রুপ বিবাদমান নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত একের পর এক সহিংস ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপিকে নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এদিকে তানোর-গোদাগাড়ী সুস্থধারা ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বত্বি বিরাজ করছে। সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের নিকট দিনবদলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতেই তিনি রাজনীতিতে সুস্থধারা, সহবস্থান ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু করেছেন।

অথচ বিগত দিনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গেসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা টিআর, কাবিখা, কাবিটা, টেন্ডারবাজী, গভীর নলকুপ দখল ও অনিয়ম-দূর্নীতির করে রাতারাতি অগাধ ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্যমরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর অর্থলিপসা না থাকায় নিজ দলের নেতাকর্মীরা এসব অনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারছে না। এতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল, শুশিল সমাজ, সচেতন মহল এবং দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এমপি ফারুকের এমন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করছে আবার ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ফলে নির্বাচনী এলাকায় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

তানোর-গোদাগাড়ীর দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ গণমানুষের নেতাহিসেবে ফারুক চৌধূরীকে নিয়ে গর্ববোধ করছে।

এছাড়াও এমপি ফারুকের অর্থলিপসা না থাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যর তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি তিনি সরকারি কলেজ নির্মাণের জন্য দান করেছেন এবং এখানো এমপির সম্মানি ভাতার একটি টাকাও তিনি নিজে গ্রহণ না করে তা এলাকার হত দরিদ্র নেতাকর্মীদের মধ্যে দিয়ে আসছেন। আবার চাকরি মেলা করে এলাকার হাজার হাজার বেকার জনগোষ্ঠির আত্তকর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।

এসব বিবেচনায় এই অঞ্চলের দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার প্রায় ৭৬ শতাশ মানুষ আবারো তাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাই।