রাজশাহী-১ জঙ্গি আমিনুলকে প্রত্যাখান

আলিফ হোসেন, তানোর রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের রাজনীতিতে জঙ্গি ইস্যুতে চরম বেকায়দায় পড়ে দিশেহারা ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির প্রার্থী সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক ওরফে জঙ্গিবাবা আমিনুল।

রাজশাহী-১ আসনের দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এবার জঙ্গিবাবা আমিনুলকে ভোটের মাঠে প্রত্যাক্ষান ও প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মূখে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিতের ঘোষণা করেছেন।

জঙ্গি ইস্যুতে সাধারণ মানুষ এতোটাই ক্ষুব্ধ বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে জঙ্গিবাবা আমিনুলের কুশপুত্তলিকাদাহ ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন বলে আলোচনা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যারিস্টার আমিনুল হক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাজশাহী অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জঙ্গি আবির্ভাব ঘটায়। তিনি এলাকায় জঙ্গি আবির্ভাব ঘটিয়েই ক্ষান্ত হননি এসব জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করতে রীতিমত আর্থিক পৃষ্ঠপোষক, রাজনৈতিক আশ্রয়-পশ্রয় ওমদদ নিয়েছেন।

ব্যারিস্টার আমিনুল হক ওরফে জঙ্গিবাবা আমিনুলের নেপথ্যে মদদ ও নেতৃত্বে রাজশাহী অঞ্চলে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে। জঙ্গিবাদের সেই নৃশংস ঘটনা মনে করে সাধারণ মানুষ এখানো শিউওে উঠে তিরি বিজয়ী হলে আবারো জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটবে সেই আশঙ্কায় সাধারণ এবার তাকে প্রত্যক্ষাণ ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে।

জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনের দলমত নির্বিশেষে সবশ্রেণী-পেশার সাধারণ মানুষ এবার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবব্ধ ও প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন তানোর ওগোদাগাড়ীর প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ধানের শীষের পরাজয় ঘটাতে চাই তারা মনে করেন বিএনপির ধানের শীষ আর ব্যারিস্টার আমিনুলের জঙ্গিবাদ এক জিনিষ নয়। ব্যারিস্টার আমিনুল ধানের শীষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গি বাদের সৃষ্টি করেছে।

সচেতন মহলের অভিমত, তানোর-গোদাগাড়ীর যেই ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষ বিজয়ী হবে সেখানে জঙ্গি রয়েছে ধরে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশী-চিরুণী অভিযান চালাতে পারে এটা হলে অনেক ভাল মানুষও ক্ষতির মূখে পড়তে পারেন। তাই এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ এই এলাকায় জঙ্গিবাদের অবসান ঘটাতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের পরাজয় ঘটাতে চাই।

রাজশাহী-১ নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিনপর ব্যারিস্টার আমিনুল হক সক্রিয় হবার পর পরই এলাকায় ফের জঙ্গি আবির্ভাবের ঘটনায় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এসব মানুষ যেকোনো মূল্য জঙ্গি আমিনুলের পরাজয় ঘটিয়ে এলাকা জঙ্গিমুক্ত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে ব্যারিস্টার আমিনুলের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া তো দুরের কথা আওয়ামী লীগের সঙ্গেশক্ত প্রতিদন্দিতা গড়ে তোলা তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

প্রঙ্গগত, বিগত ১৯৯১ সালে রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিএনপি সরকারের সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের ডাক ওটেলিযোগযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জঙ্গীবাদে মদদদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাদায়ের হলে ওই সময় নেতাকর্মীদের বিপদের মূখে ফেলে তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করে তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে আত্তগোপন করে বিলাসী জীবনযাপন করেছেন। এঘটনার পর থেকে বিএনপির একটি বড় অংশ ব্যারিস্টার আমিনুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ২০০৪ সালের দিকে রাজশাহী অঞ্চলের বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতার সঙ্গে চরমপন্থী বাসর্বহারাদের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ওই নেতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলেযায় সর্বহারারা। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তত্তাবধায়নে সাবেক ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীব্যারিস্টার আমিনুল হকের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও নেতৃত্বেসাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী রহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাবেকগৃহায়ন-গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির সর্বহারা দমনের নামে শায়েখ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই নেতৃত্বে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ‘জেএমবি’ নামে জঙ্গি সংগঠনের আবির্ভাব ঘটায়।

এসময় জেএমবি ক্যাডারা প্রকাশ্য পুলিশ পাহারায় অস্ত্রউচিয়ে রাজশাহী শহরে মহড়া দিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। এদিকে ব্যারিস্টার আমিনুল হককে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভাইসচেয়ারম্যান ও একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করায় রাজশাহী অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে ফের সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে রাজশাহী বিএনপির নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনী বলেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মতো জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী ওবির্তকিত ব্যক্তিকে দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ ও দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র জঙ্গি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কারণে সাধারণ মানুষ বিএনপির বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তিনি শুধু জঙ্গিনন দূর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারী।