শেষ মূহুত্বের প্রচারণায় সরগরম খাগড়াছড়ি

আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়িতে শেষ মূহুত্বে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পোষ্টারের নগরিতে পরিণত হয়ে পার্বত্য এই জনপদ।

সাধারণ ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত সময় পার করার পর নিজেদের বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী প্রার্থীরা। তবে রয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা আর ভয়-ভীতিও। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামিক আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৫প্রার্থী থাকলেও কে হচ্ছে এ ২৯৮ নং আসনের অভিভাবক তা নিশ্চিত হবে ফলাফল ঘোষনার পর।

এ আসনে এবারের ভোটার সংখ্যা মোট ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৪৪ জন ভোটারের মধ্যে ২,৭৭,৬৪১ জন পুরুষ ও ২,২৮,৩৫০ জন নারী এ আসনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। গতনির্বাচনে এ জেলায় ভোটার ছিল ৩ লক্ষ ৮১হাজার ৫শ ১৬ জন। একাদশ নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতিকে শহীদুল ইসলাম ভূইয়া (ফরহাদ), আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, লাঙ্গল প্রতিকেজাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠ, ইউপিডিএফের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতিকে নতুন কুমার চাকমা ও ইসলামি আন্দোলনের হাত পাঁখা প্রতীকে আ:জব্বার প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন।

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ ও প্রত্যন্ত জনপদে সাধারণ ভোটারদের মন জয়েছুটে বেড়াচ্ছেন এ পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে। দলের নীতি আদর্শ, প্রতিশ্রুতিসহউন্ননের নানা ফুলঝুড়ির চিত্র তুলে ধরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকায়ভোট চাইছেন প্রার্থী। বেগম খালেদার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে সরকারের পতনে ধানের শীষের পক্ষে জনগণেরভোট চান বিএনপি প্রার্থী।

অপরদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দিনবদলে লাঙ্গলের জাতীয়পার্টি ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত ভোটারদের কাছে। এছাড়াও ইসলামিক আন্দোলনের প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি পাহাড়ের মানুষেরউন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখাসহ পাহাড়ের ভূমিসমস্যা নিরসনসহ অধিকার আদায়ের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ’র স্বতন্ত্র প্রার্থী।

২৬৯৯.৫৬ বর্গ কি.মিটার আয়তনের ১৯৯৩ সালে সৃষ্টি খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলা, ৩টি পৌরসভা, ৩৮টি ইউনিয়নে ১২১টি মৌজায় ১৩৩৮টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ২৯৮নং খাগড়াছড়ি আসন। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র১৮৭টি। তার মধ্যে প্রত্যন্ত তিনটি কেন্দ্রে ব্যবহার হবে হেলিকপ্টার।