অসহায় ইসলাম উদ্দিন নিজের পা বাচাঁতে বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন

আবুল হাসনাত, (সিলেট) কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৬নং সদর ইউপির সুতার গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন একজন কেটে খাওয়া গরিব মানুষ| পেটের তাড়নায় কাজ করতে গিয়ে কোদাল ধারা পা কেটে ফেলেন|

নিজের মত করে ব্যান্ডেজ দিয়ে ব্যাথানাশক কোন ওষুধ ব্যবহার না করায় দিনকে দিন পায়ের ব্যথা বেড়ে যাবার কারনে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখালে ধরা পড়ে পায়ে সেপ্টি নামক রোগ হয়েছে |

কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন| পরে আত্মীয় স্বজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ধরা পড়ে ইসলাম উদ্দিনের মারাত্মক রোগ হয়েছে| তার পায়ের অনেকটা পচঁন ধরার কারনে অল্প দিনের ভিতরে উন্নত চিকিৎসা না করালে পা কাটা পড়তে পারে|

অসহায় গরিব মানুষ ইসলাম উদ্দিনের আত্মীয় স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন| দুবেলা দুমোটো খাবার খেয়ে যাদের জীবন চলে এখন কীভাবে উন্নত চিকিৎসা করাবেন| রোগাক্রান্ত ইসলাম উদ্দিনের ৩ মেয়ে ১ ছেলে সবাই ছোট থাকায় পরিবারে একমাত্র উপায় ছিলেন| তিনি এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ৩ নং কক্ষের ২৮ নং সিটে রয়েছেন|

এদিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানিয়েছেন ইসলাম উদ্দিনের যে জায়গায় রোগ হয়েছে সেখানে আগে থেকেই রোগাক্রান্ত অবস্থায় ছিল| তিনি বুঝতে পারেননি এখন আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় জায়গাটিতে পূর্বের আঘাত প্রাপ্ত রোগ একত্রিত হয়ে পায়ের পচঁন ধরে পায়ের হাটু পর্যন্ত চলে এসেছে|

পায়ের নিচ থেকে পচঁন ধরা শুরু করায় এমন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসা না করালে পা কাটতে হবে| ব্লাড সারকুলেশন পায়ের যদি ভাল থাকে তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব |

যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে ০১৭৯৪৫৬৬৭৩০এই নাম্বারে অনুরোধ করা হল, আশরাফুল হক| বিকাশ নাম্বার-01687036630/ইসলামী ব্যাংক একান্ট নাম্বার-১৯৬২৫|