গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের করা মামলায় আজিজের ভাই এম এ কাদেরকে আটক করা হয়েছে। আজিজসহ মামলার অন্য ১৬ আসামিকেও গ্রেফতার করতে অভিযানে আছে পুলিশ।
আর সঙ্গে আজিজ ছাড়াও জড়িত রয়েছেন তার ভাই এম এ কাদের। একইসঙ্গে অর্থপাচারে জড়িত রয়েছেন খোদ জনতা ব্যাংক কর্মকর্তারাও।
ক্রিসেন্ট গ্রুপের নামে জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা থেকে ভুয়া বিল ক্রয় দেখিয়ে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে।
ভয়াবহ এ অর্থপাচার সম্পর্কে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিঃ, ১৪৩, হাজারীবাগ, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে জনতা ব্যাংক লি:, ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ঢাকা কর্তৃক রপ্তানি বিল ক্রয় করা হয়। কিন্তু ৪ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসিত হয়নি এরূপ বিলের সংখ্যা ২১৫টি। জড়িত অর্থের পরিমাণ ৪২৮.৫৩ কোটি টাকা। পরবর্তী ৭ মাসে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ পর্যন্ত ২১৫টি বিলের মধ্যে মাত্র ৩টি বিলের বিপরীতে ৫.৯৭ কোটি টাকা প্রত্যাবাসিত হয়েছে।
অতএব, অদ্যাবধি ২১২টি বিলের বিপরীতে ৪২২.৪৬ কোটি টাকা অপ্রত্যাবাসিত রয়েছে।
এই উল্লিখিত তথ্য পর্যালোচনা করলে প্রমাণিত হয় যে, জনতা ব্যাংক লি:, ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, একই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এফটিডি (এক্সপোর্ট) এর তৎকালীন ডিজিএম, জিএম এবং বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা-দক্ষিণ এর তৎকালীন জিএম এবং ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লি: এর মালিকগণ পারস্পরিক যোগসাজশে ৪২২.৪৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ মুদ্রা বিদেশে পাচার করেছেন।