উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ আজ সোমবার (৭ জানুয়ারী) এক সময় নড়াইলের গ্রাম বাংলার ফুল প্রেমী মানুষের কাছে কাঞ্চন ফুলের নামটি পরিচিত এক নাম আইল্যান্ড, বন-জঙ্গল ও এলাকায় এ রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ এখন আর চোখে পড়েনা।
আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, আর প্রিয় এ কাঞ্চন ফুলেরও কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে তা হয়তো সকলের জানা নাও থাকতে পারে। আর যারা জানেন তারা কাঞ্চনের মাঝে রক্তকাঞ্চন ফুলকেই বেশি পছন্দ করেন। এর মূল রহস্য ফুলটির রং শোভা ও সৌন্দর্যকে ভালোবেসে। তাইতো কাঞ্চনের মাঝে রক্তকাঞ্চনই সেরা।
কাঞ্চনের জন্মস্থান ভারত, বাংলাদেশ। এর পরিবার, উদ্ভিদতাত্বিক নাম। রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ ছোট আকার আকৃতির বৃক্ষ। গাছের কা-খাট। কা-ও শাখা-প্রশাখা বেশ শক্ত মানের এবং শাখা-প্রশাখা ছড়ানো। তবে মাঝে মধ্যে বড় আকৃতির গাছও চোখে পড়ে। পত্র ঝরা বৃক্ষ। শীতে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যায়। আর ফুল ফোটার সময়টাতে গাছ থাকে পত্রশুন্য এবং এ সময়ে রক্তিম ফুলে ফুলে ভরে যায় গাছ।
ফুল ফুটন্ত গাছ অত্যন্ত নজর কাড়া। ফুল মূলত ঘন মেজেন্টা রঙের। ফুলে নমনীয় কোমল পাঁচটি পাপড়ি থাকে, এর মাঝে একটি পাপড়ি রঙে
ব্যতিক্রম, গোড়ার দিকে গাঢ় বেগুনি রঙের কারুকার্য। ফুলের মাঝে কাস্তের মতো বাঁকা পরাগ অবস্থিত। বিস্তৃত শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে এক বা একাধিক ফুল ফোটতে দেখা যায়।
এর ফুল শীতের শেষ দিকে ফোটা শুরু হয়ে গ্রীষ্মকাল অবধি সময় ধরে ফোটতে থাকে। তবে মৌসুমের শুরুতে গাছে অধিক পরিমাণে ফুল ফোটে। বসন্তের মাঝামাঝি গাছে নতুন পাতা গজায়।
পাতা সবুজ, শিরা উপশিরা স্পষ্ট। এর পাতার অন্যরকম বৈশিষ্ট একই বোঁটার পাতা মাঝে দু’ভাগে বিভক্ত থাকে। আবার দুটি পাতা জোড়া দিলে একটি
অন্যটির সাথে সমানে সমান। ফুল শেষে গাছে ফল হয়,ফলে বীজ হয়। ফল দেখতে শিমের মতো চ্যাপ্টা, রঙ প্রথমে সবুজ ও পরিপক্কতা এলে কালচে রঙ ধারণ করে এবং শুকিয়ে গিয়ে এক সময়ে আপনা আপনিই ফেটে গিয়ে বীজ গুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিপক্ক বীজের রঙ কালচে খয়েরি। গাছ বেশ কষ্ট
সহিষ্ণু। বীজ ও ডাল কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা যায়।
রক্তকাঞ্চনের রয়েছে ভেষজ নানান রকম গুণাগুণ। উঁচু ভূমি, রৌদ্র উজ্জল পরিবেশ থেকে হাল্কাছায়া যুক্ত স্থান ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফুল গাছ জন্মে।
আকতার মোল্যা (বাগডাঙ্গা), বলেন, আমাদের নড়াইলে এক সময় গ্রাম বাংলার কোন কোন বসত বাড়ীতে বা বাগানে,বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের আইল্যান্ড, বন-জঙ্গল ও এলাকায় এ রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ চোখে পড়তো। এখন আর রক্তকাঞ্চন ফুল গাছ চোখে পড়েনা।