প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আইএসআই

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে ওই পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়া হয়।

ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইকোনোমিক টাইমস’ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগীদের নিয়ে ওই হত্যা পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়। পরিকল্পনাটি করেছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।’

ওই সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাভিদ মোক্তার ওই হত্যা পরিকল্পনার প্রধানের ভূমিকা পালন করেন। জেনারেল নাভিদ ছাড়াও আইএসআইয়ের বেশকিছু এজেন্ট ওই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কিছু সদস্য এ পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন।

এতে বলা হয়, পাকিস্তান সমর্থিত মৌলবাদী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হত্যা পরিকল্পনায় ছিল কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।

এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গ্রিসের পতাকাবাহী একটি জাহাজে করে একে-৪৭, কারবিন বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশের পরিকল্পনা করা হয়। তবে ওই জাহাজটি মাঝপথে ডুবে যায়।

এতে বলা হয়, ২০০৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দল ক্ষমতায় থাকাকালীন যেভাবে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র দেশে নিয়ে আসে, একইভাবে এসব অস্ত্র আনার ব্যবস্থা করা হয়।

অন্য আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে হত্যা করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জাহাজ থেকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্য বোমা হামলার ষড়যন্ত্রও হয়েছিল।

ইকোনোমিক টাইমস এর আগেও এক প্রতিবেদনে বলেছিল, পাকিস্তানপন্থী বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনার জন্য দুবাইভিত্তিক এজেন্টের মাধ্যমে অর্থ ও প্রার্থী বাছাই করে দিতে চেয়েছিল।