জসিম উদ্দীন জিহাদ, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা গ্রামবাসী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ব্যাক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্রামবাসী ও ছাত্রলীগের অনন্ত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।পুলিশ ও বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের দিন ভোট চলাকালীন হোয়ানক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বানিয়াকাটার বাসিন্দা সাকলাইন ইসলাম নিরুর সাথে হরিয়ার ছড়া গ্রামের মৃত আবুল শামার পুত্র আবুল কাশেমের বিবাদ হয়। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও হয়। এর জেরে ১জানুয়ারি মঙ্গলবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪০/৫০জন যুবক আবুল কাসেমকে তুলে আনতে হরিয়ার ছড়ায় যায়। খবর পেয়ে তাদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। এতে গ্রামবাসী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে ছাত্রলীগ গ্রামবাসী, নারী ও শিশুসহ অনন্ত ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে হোয়ানক ক্যাম্পের পুলিশ ও অস্থায়ী ক্যাম্পের বিজিবি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদেরকে তাৎক্ষণিক মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, হোয়ানকের বানিয়াকাটা গ্রামের মিজান (২৫), সজিব (২২, মোহাব্বত আলী (২৩), সাকলাইন ইসলাম নিরু (২১), এমরান (২৩), আরিফ (২৫) ও হরিয়ার ছড়ার বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা আক্কাস বাঙ্গালী (৩৫), মৃত আবু শামার স্ত্রী শামসুন্নাহার (৫০) ও তার মেয়ে স্কুলছাত্রী মিহিন (১৩) বাকিদের নাম জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ঠিক কি কারণে ঘটনা হয়েছে তদন্ত না করে বলা যাচ্ছেনা। এ নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।