যশোরে পিঠা উৎসব করলো সাংস্কৃতিক সংগঠন পুনশ্চ

এবিএস রনি, যশোর জেলা প্রতিনিধি: শীত মানেই রস গুড় পিঠাপুলির সমাহার। গ্রামীণ জীবনযাত্রায় পিঠা পুলি পায়েসের জৌলুস আজো টিকে আছে। নাগরিক জীবনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। হালে শহরে নান্দনিক পিঠা উৎসব অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে।

নানা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে শেকড়ের গল্পটাকে নতুন করে, নতুনভাবে উপস্থাপনার অংশই হচ্ছে পিঠা উৎসব। ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছে শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো। যশোরের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পুনশ্চ’ আয়োজনে পিঠা উৎসব উপভোগ করলো যশোরবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুনশ্চ যশোরের নতুন ঠিকানায় (পিয়ারী মোহন রোড চিরুনীকল মোড়) এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

‘বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ উৎসব আয়োজনে পুনশ্চ যশোরের সদস্যদের হাতে তৈরি নতুন চালের গুড়ো আর খেজুরের গুড়ের নারকেলের পুর দিয়ে বানানো ভাজা চন্দ্রপুলি, রসপুলি, চিতই পিঠা, কাঁচিপাড়া, পাটিসাপটা, আন্দোসা পিঠে, ধুপি পিঠা, সবজি দিয়ে বানোনো ঝাঁল পিঠা। নানা শ্রেণী পেশার মানুষ হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিয়ে ঘরে ফেরেন।

এ উৎসবে পুনশ্চ যশোরের শিশু শিল্পী মৌলী, জয়িতা, সিঁথি, দ্যুতি ও অহনা’র রবীন্দ্র, নজরুল ও লোক সংগীত পরিবেশন করে। গানের সুর আর পিঠার স্বাদ উপভোগ করে সব বয়সী মানুষ।

উৎসবে অতিথি ছিলেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, উপশহর কলেজের অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুণ অর রশীদ, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউজে) সহসভাপতি প্রণব দাস, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির, দৈনিক স্পন্দনের নির্বাহী সম্পাদক মাহাবুব আলম লাভলু, তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন, যশোরে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক যোগেশ দত্ত, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহারিয়ার বাবু, আশীষ মুখোপাধ্যায়, চঞ্চল সরকার, সনাক সদস্য অ্যাড. প্রশান্ত দেবনাথ, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সায়েদা বানু, আবৃত্তি শিল্পী মিনারা খন্দকার প্রমুখ।

পুনশ্চ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার দাস বলেন, ব্যস্ত কর্মময় জীবনে এখন শীতের দিনে রান্না ঘরে পরম স্নেহ আর আদরে প্রিয় জনদের জন্য গৃহিণীদের হাসিমাখা মুখে পিঠা তৈরির দৃশ্য বিরল।

শহর জীবনে বিলুপ্ত প্রায় শীত ঋতুর সে সোনালী অতীতের স্মৃতি চারণ করতে ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশীয় খাবারের স্বাদকে আরো মধুময় করতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পারস্পারিক আত্মিক বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে চেয়েছি।