৫৭ ধারার মামলায় রৌমারীর সাংবা‌দিক আবারো কারাগা‌রে

রুহুল সরকার, রাজীবপুর ও রৌমারী (কুড়িগ্রাম )প্রতিনিধিঃ ৫৭ ধারায় দা‌য়েরকৃত মামলায় হাই‌কোর্ট থে‌কে স্থায়ী জা‌মিন পাওয়া দৈনিক সংবাদের রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি আনিছুর রহমানকে আবারও কারাগা‌রে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে আদালত।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) কু‌ড়িগ্রাম চিফ জু‌ডি‌শিয়াল মে‌জি‌স্ট্রেট আদল‌তে মামলার হা‌জিরা দি‌তে গে‌লে উচ্চ আদাল‌তের দেওয়া জা‌মি‌ন আদে‌শের ন‌থি পাওয়া যায়‌নি জা‌নি‌য়ে তা‌কে জেল হাজ‌তে প্রেরণের নি‌র্দেশ দেন আদালত।

আনিছুর রহমানকে জেল হজতে প্রেরনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী অ্যাড‌ভো‌কেট আহসান হা‌বিব নীলু। অ্যাড‌ভো‌কেট আহসান হা‌বিব নীলু বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ (২) ধারার মামলায় উচ্চ আদালত থে‌কে স্থায়ী জা‌মিন নি‌য়ে‌ছি‌লেন সাংবা‌দিক ‌আনিছুর। আমরা অনলাই‌ন থেকে প্রাপ্ত উচ্চ আদালতের আদে‌শের অনু‌লি‌পি আদালত‌কে দে‌খি‌য়ে‌ছি। কিন্তু মূল ক‌পি এখনও ডাক‌যো‌গে আদাল‌তে না পৌঁছা‌নোর কার‌ণে আদালত তা‌কে জেল হাজ‌তে প্রের‌ণের নি‌র্দেশ দেন।

সাংবা‌দিক আনিছ‌কে আবারও জেল হাজ‌তের প্রের‌ণের খব‌রে ভে‌ঙে প‌ড়ে‌ছেন তার স্ত্রী মিনু আক্তার। তি‌নি ব‌লেন, ‘মিথ্যা মামলায় আমার স্বামী‌কে বার বার জেলে নেওয়া হ‌চ্ছে। দু‌টি শিশু সন্তান র‌য়ে‌ছে আমার বাচ্চারা বাবার(আনিছুরের) জন্য কান্নাকাটি করছে। তিনি দ্রুত তার স্বামীর মু‌ক্তি কামনা করেন।

উল্লেখ্য ২০১৭ সা‌লের ৩১ অক্টোবর রাতে রৌমারীর যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার থেকে আনিছুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রৌমারীর যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর হাট খোলাপাড়া এলাকার আব্দুল্যাহ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার (২৪) বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ছবি বিকৃত করার অভিযোগে মামলা করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহকামাল।

আনিছুরের পরিবারের অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ওই মামলায় সাংবাদিক আনিছুরকে বাদী হওয়ার জন্য চাপ দেয়। তিনি রাজি না হওয়ায় দুই মাস পর ওই মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

পুলিশ মূল আসা‌মি‌কে এখনও গ্রেফতার না করলেও সাংবাদিক আনিছুর রহমানকে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম আদালতে সোপর্দ করে। কয়েকমাস কারাবাসের প‌রে তি‌নি জা‌মি‌নে মুক্ত হন। বুধবার মামলায় আদাল‌তে হা‌জিরা দি‌তে গেলে আদালত তা‌কে জেল হাজতে পাঠা‌নোর নি‌র্দেশ দেন।