আব্দুস শহীদ’কে মন্ত্রী হিসেবে চাই; প্রধান মন্ত্রীর নিকট শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা

তোফায়েল পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গেলো সময়ে বেশ কয়েকটি ব্রীজ নির্মাণ, রাস্থাঘাটের ব্যাপকউন্নয়ন, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, নতুন ভবন ও প্রতিষ্ঠাসহ নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের ফলাফল স্বরুপ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল, কমলগগঞ্জ) আসনে ২লক্ষ ১১হাজার ৬শত ১৩ভোট পেয়ে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে ৬ষ্ঠ বারের মতো হ্যাটট্রিক বিজয়ীহন সাবেক চীফ হুইফ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।

তার নিকটতন প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৯৬হাজার ২শত ৯৫ভোট। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এ দুটি উপজেলা নিয়ে মৌলভীবাজার- ৪ আসন গঠিত। দুই উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী, সুধীমহল, ও সাধারণ ভোটাররা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি কে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। বিজয়ী হবার পরদিন থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক, বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের হ্যাট্রিক বিজয়ের পর নির্বাচনী এলাকায় দলীয় লোকসহ সর্বস্তরের জন সাধারনের মুখে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে যে, তাকে এবার মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এলাকাবাসী বলছেন এই আসনে পর পর ৬বার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমরা প্রত্যাশা করছি তিনি আব্দুস শহীদকে মন্ত্রী হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই উপহার দিবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আছকির মিয়া বলেন, মৌলভীবাজার- ৪আসনের সর্বস্তরের জনগণের প্রাণের দাবি একটি মন্ত্রী, আমরা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রত্যাশা রাখি, উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ এমপি’কে একজন মন্ত্রী হিসেবে উপহার দিবেন।

এদিকে বিজয়ী সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি নেতা কর্মীদের অতি উৎসাহী হয়ে আনন্দ-উল্লাসে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে সকল পর্যায়ের লোকজন ও সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছেন।

২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও বর্তমান ১০ম সংসদের তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি পালন করছেন। তিনি সংসদ কমিটি, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলেরও তিনি সদস্য।