আশাশুনিতে চড়া সুদের কবল থেকে কয়েকটি পরিবারকে রক্ষা করলেন ওসি বিপ্লব

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: আশাশুনিতে চড়া সুদের কবল থেকে কয়েকটি পরিবারকে রক্ষা করলেন আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার দেবনাথ।

সূত্র জানায়, সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি গ্রামের সুদে কারবারী রশিদ সরদার ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম স্থানীয় জন সাধরণের নিকট চড়া সুদে ঋণ বিতরণ করে আসছিলেন। যা হাজারে দিন ১০টাকা হারে। এব্যাপারে একাধিক পত্রিকায় “আশাশুনিতে নাজমার চড়া সুদের কবলে নিঃস্ব বহু অসহায় পরিবার” শিরোনামে সংবাদও প্রকাশিত হয়। উপায় না পেয়ে সুদের জালে জড়িয়ে পড়া কয়েকটি পরিবার আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

ওসি বিপ্লব দেবনাথ জানান, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি গ্রামের বাবুলাল অধিকারীর স্ত্রী লতিকা অধিকারিকে নিয়ে থানায় এসে একই গ্রামের সুদে কারবারী রশিদ সরদার ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের কথা খুলে বলেন। এসময় তারা লতিকা অধিকারী, একই গ্রামের তারক সরকারের পুত্র সুখলাল সরকার, আশুতোষ সরকার ও প্রতিবন্ধী বসুদেব সরকার, ধর্মদাশ চক্রবর্তীর পুত্র তাপস চক্রবর্তী ও দেবদত্ত চক্রবর্তী যেভাবে নাজমা বেগমের চড়া সুদের জালে জড়িয়ে নিঃস্ব হয়েছেন সে বিষয়টি আমাকে খুলে বলেন।

এ ঘটনার পরের দিন লতিকা অধিকারীসহ অন্যান্যরা নাজমার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় থানার পক্ষ থেকে আমিদু’পক্ষকে নিয়ে থানায় বসি এবং সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা করি। তিনি আরও বলেন, সুদ খোররা কখনও সুদে টাকা খাটানোর কথা শিকার করে না তারপরও অসহায় পরিবার গুলোকে সুদের কবল থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। নাজমাকে সুদেকারবার ছেড়ে দেওয়া কড়া নির্দেশ এবং পুলিশের দায়িত্ব পালনের অংশ হিসাবে অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাড়াতে পেরেছি।

থানার গোল ঘরে বিষয়টি মিমাংসার সময় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, এসআই ইসমাইল হোসেন, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সদস্য মাসুম বাবুল, শাহীন আলম, বিএম আলাউদ্দীনসহ উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মিমাংসা শেষে কান্না জড়িত কন্ঠে লতিকা অধিকারী বলেন, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও থানার বড় স্যারের কারণে আজ থেকে আবারও স্বামী-সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ইচ্ছে ফিরে এলো। আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব যাহাতে আমার মত অন্য অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাড়াতে পারে এ আর্শিবাদ করবো সব সময়।