ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মন্ত্রী পরিষদে নুরুজ্জামান

আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থেকে এবার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি অন্য অনেকের মতো। উঠে এসেছেন একেবারে তৃণমূল থেকে নিজ যোগ্যতায় পিতার হাত ধরে। তার পিতা করিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদের সদস্য। সেই বাবার বড় ছেলে নুরুজ্জামান আহম্মেদ ছিলেন, তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ২ বার নির্বাচিত হয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে।

এরপর স্থানীয় সরকারের গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তার অভিষেক হয় ২০১৪ সালের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান নুরুজ্জামান আহম্মেদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী এই এমপি এ বার প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হলেন।

জানা গেছে, এর আগে লালমনিরহাট থেকে রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ভোলা (নৌ পরিবহন মন্ত্রী), আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুরের কৃতি সন্তান আব্দুস ছাত্তার (পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী) ও লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য জি এম কাদের (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী) ছিলেন।

নুরুজ্জামান আহম্মেদের মন্ত্রীত্ব প্রাপ্তিকে লালমনিরহাট-২ আসনের (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘উপহার’ হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনের পর থেকে কে কে মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে গুঞ্জন ছিল। সে গুঞ্জনের সমাপ্তি হলো রোববার।

জানা যায়, পিতা প্রয়াত এম পি করিম উদ্দিন আহমেদের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন নুরুজ্জামান আহমেদ। তার বাড়ি লালমনিরহাট-২ আসনের কালীগঞ্জ উপজেলায়। তার জন্ম ওই উপজেলার কাশিরাম গ্রামে। ওই উপজেলার তুষভান্ডার আরএমএমপি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি এসএসসি এবং ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে যথাক্রমে এইচএসসি ও বি কম পাস করেন।

পিতা প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদ ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। মূলত বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি নুরুজ্জামানের।