উপজেলা নির্বাচনে কক্সবাজারে জুয়েলের বিকল্প নেই

জসিম উদ্দীন জিহাদ, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলার রাজনীতির রাজ পরিবার বলা হয় বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম এ.কে.এম. মোজ্জামেল হক পরিবাকে। আর বর পূত্র তিনি নিজে-ই।

মহুম মোজ্জামেল হক তিনি শুধু আ’লীগের প্রতিষ্ঠিতা লগ্নের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আ’লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভুমিকা রাখেননি, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৭৫ পরবর্তী আ’লীগের দুঃসময়ে যখন সবাই ঘর ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। তখনও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দল আ’লীগকে।

নিজেকেও প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন আর্দশ রাজনীতির বরপুত্র হিসাবে। তৈরি করেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল আ’লীগের শক্তিশালী নেতৃত্ব। এমনকি দলের প্রয়োজনে নিজের চার ছেলে ও এক মাত্র মেয়েটিকেও করেছেন রাজনীতির সাথে সারাসরি সম্পৃক্ত।

তিনি জিয়াউর রহমানের শাসন আমাল ও সৈরাশাসক এরশাদ আমলে লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছেড়ে বিন্দু পরিমাণ আপোষ করেননি তিনি। তাই দুই শাসন আমলে-ই-হয়েছেন সীমাহীন নির্যাতিত ও নিপীড়িত। জীবন দশায় তিনি জেলা আ’লীগের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। তিনি ১০ই অক্টোবর ২০০৫ সালে সংগ্রামী ও বর্ণাট্য জীবনের ইতি টেনে না ফেরার দেশে চলে যান।

এত কিছুর পরও পরিবারটি কখনো দলের কাছে কিছু চেয়েছে এমন নজীর নেই। তাই এবার আ’লীগ ও অঙ্গ সংঘঠন ও সর্বস্তরের মানুষের জোড়ালো দাবী উঠেছে এ.কে.এম মোজ্জামেল হক চেয়ারম্যানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র কাইছারুল হক জুয়েলকে উপজেলা চেয়ারম্যানে নৌকার প্রার্থী হিসাবে দল থেকে মনোনয়ন দেয়ার।

কাইছারুল হক জুয়েল সাবেক সফল ছাত্র নেতা ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা ভোট ব্যাংক কক্সবাজার পৌরসভা ও বৃহত্তর ঈদগাঁওতে তার রয়েছে বিশাল জনসমর্থন। আ’লীগ পরিবারের যে কোন অঙ্গ সংঘঠনের নেতাকর্মীদের বিপদ আপদে নিঃস্বার্থ পাশে দাড়ানোর কারনে জুয়েল এর কদর বেড়েছে দিনকে দিন। সে হিসাবে দলটি থেকে যে ক’জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে তাদের হিসাবে জনপ্রিয়তাই ও কাইসারুল হক জুয়েল অনেক বেশি এগিয়ে।

জুয়েলের আরো তিন ভাই তারাও জেলা আ’লীগ ও অঙ্গ সংঘঠনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসাবে পরিচিত। তাদেরও দাবি এইবার তাদের পরিবারকে একজনকে মূল্যয়ণ করার হোক এবং সেটা সাবার ছোট ভাই কাইসারুল হক জুয়েল।

জুয়েলের বড় ভাই জেলা আ’লীগের সাংঘঠনিক সম্পাদক মাশেদুল হক রাসেদ বলেন, জুয়েল আমার ভাই হিসাবে নয়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী হিসাবে যদি কেউ দল থেকে মনোনয়ন পাই, তাহলে জুয়েলের বিকল্প নেই।

অপর বড় ভাই জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযুদ্ধা একে.এম. মোজ্জামেল হকের যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে ছোট ভাই জুয়েলকে উপজেলা নির্বাচনে শুধু আ’লীগ পরিবার নয়, এখন সাধারণ মানুষের গণ দাবি হচ্ছে জুয়েলকে উপজেলার নৌকার মাঝি করা হোক। তিনি আরো বলেন, জুয়েলের জনপ্রিয়তা দেখে জননেত্রী অবশ্যয়ই এবার তাকে মনোনয়ন দিবেন বলে কক্সবাজারবাসী বিশ্বাস করে।

কাইসারুল হক জুয়েলের বড় তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় মাশেদুল হক রাসেদ বর্তমান জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মেজ ভাই, শহিদুল হক সোহেল জেলা যুবলীগের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক ও শাহিনুল হক মার্শাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ও এক মাত্র বোন জেলা মহিলা যুবরীগের সাধারন সম্পাদিকা ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য।

গত পৌর সভা নির্বাচনে পুরা পরিবারের সবাই সরাসরি মাঠে নেমে নৌকার প্রার্থীর বিজয়ে যেমন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তেমন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বিপুল ভোটে জয়ের সর্বোচ্ছ অবদানও রেখেছেন পরিবারটি।

তাই স্বাভাবিক ভাবে নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষে প্রশ্ন তুলেছে হক পরিবার থেকে আর কত নিবেন? এবার কিছু ফিরিয়ে দিন। তৃনামূল নেতাকর্মীদের দাবি জুয়েলকে যদি নৌকার প্রার্থী হিসাবে দল থেকে মনোনয়ন দিলে উপজেলা নির্বাচনে টানা পরাজয়ের গ্লানি ভুলে ইতিহাস সৃষ্টি করে নির্বাচিত হবে বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

এ ছাড়াও ব্যাক্তি হিসেবে জুয়েল সাধারণ মানুষের কাছে শত ও নিঃস্বার্থতা নেতাদের একজন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। পুরা কক্সবাজার জেলা জুড়ে জুয়েলের রয়েছে কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব ও আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তা। সে হিসাবে সবাই ধরে নিয়েছে এবার উপজেলায় নৌকার মাঝি জুয়েল-ই হতে যাচ্ছে।

কাইছারুল হক জুয়েল বলেন, সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে আ’লীগ করার কারনে বাবা যেমন নির্যাতিত হয়েছিলেন, তেমনি একেই কারনে সেনা সমর্থিত তত্ববধয়ক সরকারের আমলে আমি আর বড় ভাই মাশেদুল হক রাসেদ দীর্ঘ এক বছর জেল খেটেছি। নানান ভাবে হেনস্থ হয়েছে আমাদের পরিবার।

তিনি বলেন, এবারই প্রথম আমাদের পরিবার থেকে আমি সংঘঠনিক ও পরিবার মিলে নির্বাচন করার সীদ্ধান্ত নিয়েছি। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ময়দানে নির্বাচনের আশা নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। তাই আশা করি জননেত্রী আমার পরিবারে অভিবাক ও প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ণ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর মাঠে লড়াই করে জেতার জন্য যোগ্যতা সমর্থন আমার আছে কিনা সেটা আমি বলবনা, আপনারা মাঠ পর্যয়ে যাচাই করে দেখেন, মানুষ আমাকে চাই কিনা!