ওয়ার্ড বয়ের হাতে লাঞ্চিত হলেন দুই সাংবাদিক

যেখানে ভুক্তভোগীরা শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু ওই ভুক্তভোগীই নিজের অপকর্মের বেলায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভিলেন রূপ ধারণ করে। প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রায় প্রতিটি বিভাগেই এরকম দেখেছি যে, নিজেদের ও প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার বেলায় এরা রীতিমতো সাংবাদিকদের তেল মালিশ করে থাকে। বিপরীতে এদের কোন অপকর্মের খবর প্রকাশ করতে গেলে ভয়ঙ্কর চেহারাটা বেরিয়ে আসে।

এদিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক প্রভাবশালীর (ওয়ার্ড বয়) হাতে লাঞ্চিত হলেন আরটিভি’র সাংবাদি সোহেল রানা ও তার ক্যামেরাপার্সন।

এদিকে হামলার শিকার নাজমুল হোসেন সায়মন বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহে গেলে প্রথমে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিয়ে পরিচালকের অনুমতি নিতে বলে। পরে পরিচালকের কক্ষে গেলে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগার করে বলেন, সাংবাদিকদের কারণেই প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের ওপর কড়াকড়ি করেছেন। হাসপাতালে কোনও সাংবাদিক প্রবেশ করা যাবে না।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় আমরা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তায় রোগীদের বক্তব্য নিতে গেলে হাসপাতালের কর্মীরা ফের বাধা দেয়। ক্যামেরার লেন্স ভেঙে ফেলে। তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিবেদক সোহেল রানার ওপর হামলা করেন দুর্বৃত্তরা।’

এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সংগঠনের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্ণিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল এবং সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদও পৃথক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।