কক্সবাজারে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাফর গ্রেফতার

মুহম্মদ তাহজীবুল আনাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাফর আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

২৫ জানুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাহাড়তলী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র।তার বিরুদ্ধে সদর থানায় জিআর মামলা নং- ৫৫২/১৩, ৫৫৩/১৩, ৪৭৪/১১, ৯৪৩/১২, ৩০৫/১৫ সহ অস্ত্র, খুনসহ নানা অভিযোগে অনেক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, জাফর আলম প্রকাশ বালতি জাফর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর পাহাড়তলী এলাকায় অব্যাহত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা কারণে অশান্ত থাকার পেছনে সে অন্যতম দায়ী। তার কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।

জাফর নিজের অপরাধ ঢাকতে কৌশলে আওয়ামী লীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তার কারণে আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে চরমভাবে। তার কারণে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরাও বিব্রত।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিংহভাগ লোক চাচ্ছে, জাফর আলমের মতো বিতর্কিত ও সমালোচিত লোক দল থেকে বেরিয়ে যাক। নিশ্চিত হোক অপরাধের শাস্তি। এদিকে সন্ত্রাসী জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংবাদে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জন প্রতিনিধি জানান, জাফরকে গ্রেফতারের কারণে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। কারণ তার নির্যাতনে এলাকার লোকজন খুবই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে আসছিল।

একইভাবে স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, সন্ত্রাসী জাফর আলম গ্রেফতারে এলাকায় স্বিস্ত ফিরে এসেছে। তার জন্য অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশংসার দাবি রাখে। তাকে গ্রেফতার করায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি তার লালিত-পালিত সন্ত্রাসিদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, জাফর আলম ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। হত্যা ও ডাকাতি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অপরাধ করে কেউ রেহায় পাবে না। সে যে দলের বা যে মতের হউক না কেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।