কালীগঞ্জে রাস্তার কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার, দেখার যেন কেউ নেই!

আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রাস্তা পাকা করনে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

কাকিনা এলাকার পৃথক দু’টি রাস্তা পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। সিডিউল অনুযায়ী ভালোমানের ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও বাস্তবে দেয়া হয়েছে নিম্নমানের ইটের খোয়া।

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই নিন্মমানের ইটের খোয়া দিয়েই কাজ শুরু করেন এবং অনিয়মের মধ্য দিয়েই ডাব্লিউ বিএম এর কাজ শেষ করেন।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে কাকিনা মহিষামুড়ি রওশনের বাড়ী থেকে কাইম রুদ্রেশ্বর ভায়া মিলন বাজার ১২০০ মিটার রাস্তা পাকাকরনের কাজ শুরু হয় বেশ কিছু দিন পূর্বে। রাস্তাটির কাজ পান লালমনিরহাটের ঠিকাদার আফজাল হোসেন। অজ্ঞাত কারনে রাস্তা ২টি পাকা করনের কাজে শুরু থেকেই মানা হয়নি কোন সিডিউল। ঠিকাদার তার খেয়াল খুশিমত কাজ করেলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ছিল নিরব।

পল্লী চিকিৎসক লাল মিয়া বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তাদের নিরব ভুমিকার কারনেই কাজের মান নিন্ম ও অনিয়ম হয়েছে। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বারবার বলেও লাভ হয়নি।

এ বিষয় অত্র এলাকার ইসমাঈল হোসেন, জসিম উদ্দিন, কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের, পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, পাইলট, আলতাব মাস্টারসহ অনেকে বলেন, “ভাই আপনাদেরও বলে লাভ কি? ঝড় যেদিকে ছাতিও সেই দিকে, কতবার ঠিকাদার ও এলজিইডির লোকদের বলেছি তারা কথা কানেই নেয়নি।

এব্যাপারে ঠিকাদার আফজাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তার কাজে আপনারা এত উৎসাহিত কেন? বলেই ফোন কেটে দেন।

উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, আমি নতুন এসেছি তাই কিছু বলতে পারতেছি না। আপনারা সহকারী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। ইটের খোয়া বড় বড় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোলার ব্যবহার করলে বড় খোয়াগুলি ভেঙ্গে যাবে।