“কিশোরগঞ্জে বিদেশী সংস্থার বাড়ি তৈরির কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ”

মোঃ রবিউল ইসলাম রাজ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে পাকা বাড়ি তৈরির কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগীদের।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া বদি গ্রামের প্রায় এক শতেরও বেশি ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

ওই এলাকার জবানুর রহমানের ছেলে লিটন (৪০) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। অভিযোগকারীরা হলেন, উঁচা বদি মাঝাপাড়ার মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪৫), কেরামত আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩৫), মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে নয়া মিয়া (৪৫), মৃত তমের উদ্দিনের ছেলে জপুর আলী (৬৫), মৃত ফাহিম উদ্দিনের ছেলে জহিরল ইসলাম (৬০), রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার আলম বিধিতর ইউনিয়নের সয়রাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মতলুবর রহমান (৪০), নোয়ালী কচুয়ার মৃত ছমসের আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৫), দক্ষিণ বদি ৮ নং ওয়ার্ডের রসনি বিশ্বাস সহ আরো অনেকে।

এদের প্রত্যেকের কাছে ইটের বাড়ি তৈরি করার কথা বলে ৫৫ থেকে ৮০ হাজার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পরিচয় দানকারী লিটনের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় তিনি আওয়ামী লীগের কর্মীও নয়। তার বিরুদ্ধে মোটর বাইক চুরির ঘটনায় জড়িত আছেন বলে জানান নাম না বলা সর্তে অনেকে।

এ সময় অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লিটন কয়েক বছর ঢাকায় থাকতো। হঠাৎ করে প্রায় বছর দেড়েক আগে বাড়িতে আসে। এর ই মধ্যে এলাকার বেশ কিছু লোককে জানান যে, বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বিদেশী সংস্থার (সৌদি আরব) থেকে গরীবদের জন্য ইটের তৈরী বাড়ি দিচ্ছেন সরকার।

তার সাথে ছিল একজন হুজুর, সেই হুজুরের কথা শুনে বেশ কয়েকটি পরিবার রাজিও হয়। প্রত্যেকের কাছে ৫৫ হাজার টাকাও নেয় এবং দু-একজনের বাড়িতে ইটও আসে। এপর এসব দেখে, অনেকেই বিশ্বাস করে টাকাও দিয়েছেন। তারপর দু-একটা বাড়ির কাজ শুরু হয়।

পাকা বাড়ি তৈরি করতে কে না চায়। এভাবেই এলাকার সহজ-সরল মানুষের সরলতার সুযোগে প্রতারনার জালে ফাঁসিয়ে এক-দেড়শো পরিবারের প্রত্যেকের কাছে ফাকা স্টাম্পের উপর স্বাক্ষর নিয়ে ৫৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েকটি বাড়িতে ইট দেয়, কাজও শুরু হয়, প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঁঢাকা দেয় ওই প্রতারক লিটন ।

কিছুদিন পর গ্রামে চলাফেরা করতে দেখা গেলে, সব ভুক্তভোগীরা তার বাড়িতে যায়। বাড়িতে গেলে তার স্ত্রীকে দিয়েই গালিগালাজ করায়। ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম জানান, তিনটি করে রুম তৈরি করার জন্য আমাদের কাছে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন টাকাও দেয়না, কাজও করে না।

এই টাকা চাইতে গেলে তার স্ত্রীকে দিয়ে মামলার হুমকি দেয়। উল্টো আমাদের কাছে টাকা পাবে বলে ধমক দিয়ে প্রাননাশের হুমকি দেন। এই অভিযোগের বিষয়ে লিটনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি অভিযোগটি এড়িয়ে যান। নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি ইটের ব্যবসা করি। তাদের কাছে ইটের টাকা পাবো, এই টাকা চাইতে গেলে তারা আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক এনে নালিশ দেয়।