কেশবপুরে চলতি মৌসুমে চলছে পেঁয়াজের আবাদ, পেঁয়াজের আবাদে বাম্পার ফলন

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে চলতি মৌসুমে চলছে পেঁয়াজের আবাদ। পেঁয়াজের আবাদ চাষে বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। কৃষকরা উচু জমিতে নভেম্বর মাস থেকে শুরু করেছে পেঁয়াজের আবাদ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান অনেক কৃষকরা। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠা শুরু হয়েছে। দামও যথেষ্ট ভাল। কেশবপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামেই উন্নত জাত এবং মানসম্পন্ন পেঁয়াজ উৎপাদনে অনেকটাই ঝুকে পড়েছে কৃষকরা। চলতি মৌসুমে কেশবপুরের কৃষকরা ব্যাপক হারে পেঁয়াজের আবাদ করেছে। পেঁয়াজ আবাদে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কেশবপুর উপজেলা জুড়ে পেঁয়াজের আবাদ। আর কৃষি বিভাগ কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করে চলেছে।

মৌসুমের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন আশা করছেন অনেক কৃষক। উপজেলার সাঁগরদাড়ি, গোপসানা, বাশবাড়িয়া, মঙ্গলকোট, ব্রহ্মকাটি, রামচন্দ্রপুর, বড়েঙ্গা, গড়ভাঙ্গা, সুজাপুর, আলতাপোল গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজ চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পেঁয়াজ খেতে পরিচর্যার কাজে। যশোর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ, হালি পেঁয়াজ ও দানা পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে।

কৃষক আমিনুর ইসলাম, রাজ্জাক মোড়ল, রহিম মোড়ল, আলমগীর হোসেনসহ অনেক কৃষকরা জানান, গরম আবাহাওয়া যাওয়ার সাথে সাথে উচু জমিতে আমরা পেঁয়াজের আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবার জলাবদ্ধতা না থাকায় ফলন ভাল পাব। গত বছর পেঁয়াজের দাম বেশী পেয়েছিলাম। আর সেজন্য চলতি বছর আরও বেশী জমিতে পেয়াজের আবাদ করেছি। এখন পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। বাহির থেকে পেঁয়াজ আমদানী না করলে আমরা লাভবান হব।