গোলাম কিবরিয়া টিপুকে মন্ত্রী করার দাবী বাবুগঞ্জ-মুলাদীবাসীর

প্রিন্স তালুকদার, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ, বাঙালী জাতির সূর্যসেনা বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ঘুমিয়ে আছে যে মাটিতে, এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টি নন্দন দুর্গাসাগর অবস্থিত যেখানে তা নিয়ে ইবরিশাল-৩ আসন। বাবুগঞ্জ-মুলাদী দুইটি উপজেলা নিয়ে বরিশাল-৩ আসন গঠিত।

দখিনের অন্যতম জনপদ, সন্ধ্যা, সুগন্ধা, আড়িয়াল খা ও জয়ন্তী নদী বেষ্টিত বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) নির্বাচনী এলাকা। ১৬৪.৮৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ২৩৫.৫বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মুলাদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) নির্বাচনী এলাকা।

বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে সীমানা পূননির্ধারন করে বাবুগঞ্জের সাথে মুলাদী যুক্ত করে বরিশাল-৩ আসন গঠন করা হয়। এর আগে উজিরপুর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ছিল বরিশাল-৩ আসন। তখন মুলাদী ছিল বরিশাল-৪ আসনে। বরিশাল-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৫৩হাজার ৫১২জন। ১৩০টি ভোট কেন্দ্র ও ৫৮৪টি ভোট কক্ষ। এর মধ্যে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১লক্ষ ১৪হাজার ৭৫৪জন ভোটার ও মুলাদী উপজেলায় ১লক্ষ ৩৮হাজার ৭৫৮জন ভোটার ছিল।

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে ১লক্ষ ৪৭হাজার ৩৫৩জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আবারো টিপু, আবারো উন্নয়ন স্লোগান নিয়ে গোলাম কিবরিয়া টিপু ৫৪হাজার ৯৭৭ভোট পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্মভূমি সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দা (বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর গ্রাম) ও জাপার অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু ২০০৮ সালেও বরিশাল-৩ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা বাসীর মতে, গোলাম কিবরিয়া টিপু সে সময় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নদী বেষ্টিত এ দুই উপজেলার সব খেয়াঘাট ও হাট-বাজারের ইজারা প্রথা বাতিল করে জনগনের জন্য ফ্রি করে দিয়ে ছিলেন। তার উন্নয়নের হাত শক্তিশালী করতে আমরা তাকে মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ফরচুন সুজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, বাবুগঞ্জ মুলাদীর উন্নয়নের স্বার্থে আমরা এক মোহনায় কাজ করবো, আমরা উন্নয়ন চাই। উন্নয়নের গতি ত্বরানিত করতে গোলাম কিবরিয়া টিপু সাহেবকে মন্ত্রী পদে দেখতে জনপদের জনগন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্ব প্রথমনারী অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ লাভের গৌরব অর্জন করা বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার বলেন, এক সময়ের সর্বহারা, সন্ত্রাসী এলাকা হিসেবে পরিচিত দুই উপজেলায় শান্তির সু-বাতাস ফিরিয়ে আনার জন্য রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করে ছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অনায়াসে যেকোন প্রান্তে গাড়ি নিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারায় খুব সহজেই অপরাধ কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যায়। এবার আমরা তাকে মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই।

বাবুগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি মুকিতুর রহমান কিচলু বলেন, বরিশাল-৩ আসন মূলত জাতীয় পার্টিরঘাঁটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কতিপয় সুবিধা ভোগী নেতার কারসাজিতে কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় আমরা ভোট বর্জন করায়, আমার নেতাকে (গোলাম কিবরিয়া টিপু) হারিয়ে দেয়া হয়েছিল। যার ফল বিগত সময়ে নির্বাচনী এলাকার সাধারন ভোটাররা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারন ভোটাররা দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনের জন্য মাঠে ময়দানে সাংগঠনিক কাজ করে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে জননেতা গোলাম কিবরিয়া টিপুকে মন্ত্রী পদে দেখতে চাই।

বাবুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির তৃনমুলের জননন্দিত যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সেলিম হোসেন স্বপন বলেন, বাবুগঞ্জ মুলাদীবাসী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে জননেতা গোলাম কিবরিয়া টিপু ভাইকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। সদা হাস্যোজ্বল এই সাদা মনের মানুষটি বিগত নবম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে এনে সাধারন মানুষদের শান্তিতে বসবাসকরার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এবার তিনি উন্নয়নের নতুন চমক দেখাবেন, তাকে আমরা মন্ত্রী হিসাবে পেতে চাই।

মুলাদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ খান বলেন, বাবুগঞ্জ, মুলাদী এলাকা তথা দখিনের জনপদে গোলাম কিবরিয়া টিপু একটি নাম, একটি ইতিহাস। এলাকার সকল হাট বাজারের খাজনার লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারের ঘরে জমা দিয়ে জনগনের জন্য হাট, বাজার, ঘাটের ইজারা মওকুফ করে ছিলেন, মুলাদী বাবুগঞ্জ বাসীদের বাসযোগ্য একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগনের মনে যায়গা করে নিয়েছেন। আমরা তাকে মন্ত্রী পদে দেখতে চাই।

মুলাদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক, মুলাদী পৌরসভার কাউন্সিলর আরিফুর রহমান বলেন, সরকারী বরাদ্দ যেমন কাবিখা, কাবিটা, টি আর সহ প্রত্যেকটি বরাদ্দ সুষ্ঠ ও ন্যায় সঙ্গত ভাবে বন্টন করায় মানুষ উক্ত প্রকল্প গুলির নামের সাথে প্রথম বারের মত তার আমলেই পরিচিত হয়ে ছিলেন। দুটি উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় একাধিকবার বরাদ্দ দিয়ে ছিলেন। তার উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি করতে আমরা তাকে মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই।

বরিশাল জেলা ছাত্রসমাজ সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, জননেতা গোলাম কিবরিয়া টিপু ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দানশীল, তিনি গরীব অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগীতা করেন। পুলিশ বাহিনী, প্রাইমারী শিক্ষক সহ বিনা টাকায় বহুচাকুরী হয়েছে তার আমলে। অবকাঠামো উন্নয়নের আওতায় অনেক স্কুল কলেজ মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মিত হয়েছিল। অসংখ্য রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, খাল খননসহ বহু উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছিল। সন্ত্রাস মুক্ত এলাকায় জনগন পরম সুখে ও শান্তিতে বসবাস করেছিল। উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন স্বাধীন ভাবে কাজ করেছেন। তার পাঁচ বছরের শাষন আমলে একটি রাজনৈতিক মামলাও হয়নি। সহমর্মিতার রাজনীতি করেছেন সর্বদা। শান্তি ও সম্প্রতি বিরাজ ছিল সর্বত্র। একজন মহান দেশ প্রেমিক, দক্ষিণাঞ্চলের স্বচ্ছ রাজনীতির রুপকার তিনি, তাকে মন্ত্রী পদে দেখতে চাই।

বাবুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারন সম্পাদক সোহেল হাওলাদার বলেন, জননেতা টিপু ভাই একজন দক্ষ রাজনিতীবিদ। তিনি এলাকা মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখেন। এলাকায় অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কার্লভার্ট, স্কুল, কলেজসহ এমন কোন স্থান নেই, যেখানে তার উন্নয়নের ছোয়া লাগান নাই। তিনি এলাকার সুষম উন্নয়ন করেছেন। এলাকার জনগনের প্রানের দাবী, আমরা তাকে মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই।