জামালপুরে ১৪ মাসের বকনা বাছুর প্রতিদিন দিচ্ছে ৩লিটার দুধ

সাহিদুর রহমান, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর রৌহা গ্রামে ১৪ মাসের এক বকনা বাছুর বাচ্চা প্রসব ছাড়াই প্রতিদিন ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে বলে জানাগেছে।

প্রকৃতির নিয়ম ভেঙ্গে বকনা বাছুরটি প্রতিদিন দুই বেলা দিচ্ছে দুধ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১নং সাতপোয়া ইউনিয়নের চররৌহা গ্রামের আঃ হাই মন্ডলের পুত্র ছামিউল ইসলামের ১৪ মাসের একটি বকনা বাছুর প্রতিদিন দুই বেলা ৩ লিটার করে দুধ দিচ্ছে। প্রায় এক মাস যাবৎ এই বকনা বাছুর দোয়ানো দুধ বিক্রী করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই বিশেষ দুধের জন্য অনেকেই বাড়তি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাছুরটি একনজর দেখার জন্য বাড়িতে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। প্রতিবেশী আকরাম হোসেন বলেন, এই গরুটার বয়স ১৪ মাস। গরুটাভরেও নাই, বাচ্চাও নাই। প্রসব ছাড়াই দুধ দিচ্ছে। এই অদ্ভুত ঘটনা প্রথমে আমরাও বিশ্বাস করি নাই। একদিন ভোরে গিয়ে দেখি বাছুরটিকে দোয়ানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রতিদিন নিয়মিত দুই বেলা করে দুধদিচ্ছে।

বাছুরের মালিক ছামিউল ইসলামের বাবা আঃ হাই মন্ডল বলেন, আমার ছেলে ছামিউল ইসলাম ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ বছর আগে গর্ভবতী গাভীকিনে আনে। পরবর্তী সময়ে আবার গর্ভবতী হলে এ বকনা বাছুরের জন্ম হয়। এক মাস আগে আমার নাতি আমাকে এসে অদ্ভুত ঘটনা বলে। আমি গিয়ে দেখি বকনা বাছুরের ওলানের বাট থেকে দুধ পড়ছে। আমি একটা পাত্রে বাছুরটির ওলানের বাট দোহন করে প্রায় তিন লিটার দুধ পাই।

তারপর দিন সরিষাবাড়ী পশু হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে বাছুরটিকে নিয়ে গেলে তিনি পরীক্ষা করে বলেন, বাছুরটি বড়ই লক্ষ্মী। আপনারা বাছুরটিকে বাড়ীতে নিয়ে যত্ন সহকারে লালন পালন করেন। আপনাদের ভাগ্য ফিরাবে এই বাছুর।

সরেজমিনে অদ্ভুত ঘটনা দেখতে গেলে বাছুরের মালিক বলেন, একটু আগে পানাইলাম এখন দুধ হয় কিনা দেখি। অদ্ভুত বিষয় হলো বাছুরটিকে দোয়ালে এবারও প্রায় ১ লিটারের মতো দুধ পাওয়া গেল। এ সময় এলাকার শত শত মানুষ বাছুরটিকে দেখার জন্য ভিড় জমায়।

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকার এক মৌলানা বলেন, এটি আলাহর দান। আলাহর হুকুম ছাড়া ১৪ মাসের বকনা বাছুর গর্ভবতী না হয়ে দৈনিক ৩/৪ লিটার করে দুধ দিতে পারে না।