রাজধানীর ইস্কাটনে বহুল আলোচিত জোড়া খুন মামলার একমাত্র আসামি সাবেক এমপি সাবেক সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আসামির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এ রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ইমাম।
রায়ে বলা হয়, আসামি বখতিয়ার আলম রনি ঘটনার সময় মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার মেয়ে হাসপাতালে থাকায় তিনি বিষণ্নতায় ছিলেন। তিনি ওই সময় মদ্যপ ছিলেন। তিনি লাইসেন্সবিহীন পিস্তল দিলে মামলার ভুক্তভোগীদের গুলি করেন। তিনি জানতেন গুলি করলে তারা মারা যাবেন। এ ঘটনায় বখতিয়ার রনি মৃত্যুদণ্ড শাস্তি হয়, কিন্তু তার (রনি) শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হলো। একই সঙ্গে ৫০ হাজার জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ইমাম রায় ঘোষণার জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২৬ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আসামি বখতিয়ার আলম রনি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলী ও রিকশা চালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ডিবি পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস রনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইস্কাটন এলাকায় রনির গাড়ি যানজটের কবলে পড়লে তিনি উত্তেজিত হয়ে গাড়ির জানালার গ্লাস খুলে নিজের পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়েন। তার গুলিতে আবদুল হাকিম ও ইয়াকুব আলী মারা যান।