টাকার অভাবে বেরোবিতে ভর্তি হতে পারছে না সোহাগী বেগম

শফিকুল আলম, রংপুর প্রতিনিধিঃ দারিদ্র্যের কশাঘাতে নিষ্পেষিত সোহাগী এবং তার পরিবার। তারপরও দারিদ্র তাকে করতে পারে নি পরা্জয়। টাকার অভাবে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১৫তম স্থান অধিকার করেও ভর্তি হতে পাচ্ছে না দিন মজুরের কন্যা সোহাগী বেগম। আগামী ১০ ডিসেম্বর ভর্তির শেষ দিন তার। জীবনের এই কঠিন বাস্তবতায় সরকার ও বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সোহাগী বেগম ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সোহাগী ব্যবসা শিক্ষা শাখায় সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান দখল করেছে। তিনি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের দিনমজুর হারুন অর রশিদের মেয়ে। ৪ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সোহাগী।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম বকুল জানান, সোহাগীর বাড়ি আমার বাড়ির সাথে। তার পিতা হারুণ অর রশিদ একজন দিনমজুর ও বর্গা চাষী। বসতভিটাই একমাত্র সম্বল। অনেক কস্ট করে চার ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করাচ্ছেন তিনি। আর্থিক অনটনের মধ্যেও মেধাবী সোহাগী ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মহিষখোচা বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এবং ২০১৭ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৪.৬৭ পেয়েছে। এবার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সি ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৫ তম স্থান দখল করেন।

আগাশী ১০ ডিসেম্বর তার ভর্তির শেষ তারিখ হলেও এখন পর্যন্ত ভর্তির টাকার সংগ্রহ হয় নি সোহাগীর। ফলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার। বিভিন্ন জনের কাছে হাতপেতেও সুরাহা হয় নি টাকার। এমতাবস্থায় সরকার ও বিত্তবানদের কাছে এই মেধাবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি এবং পড়ালেখার খরচ জোগানোর দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। এ ব্যপারে তাকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে দৈনিক নয়া দিগন্ত, রংপুর ব্যুরোq অফিস-০১৭১২১১১৪১৯, সোহাগীর বড় ভাই মানিক মিয়া-০১৭৫২৫৫১৬৩৫ অথবা মাহফুজুল ইসলাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ০১৭৪৪৩৩০৫৯২ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।