আগামী ১১ মার্চ বহুল আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার নীতিমালা ও আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্রের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আচরণবিধিতে নির্বাচনে প্রচারের সময় ও কারা অংশ নিতে পারবেন কারা পারবেন না তাও ঠিক করা হয়েছে।
আচরণবিধির প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত ৪ নম্বর ধারার গ-তে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তনকরা আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারণায় কারা অংশ নিতে পারবেন না এ নির্দেশনায় ‘খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী’ এই শব্দগুলো বাদ দিয়ে ‘ভোটার ও প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না’ এমনটি লেখা হয়েছে। আর প্রচারণার শেষ সময় রাত ১১টার পরিবর্তে ১২টা করা হয়েছে। তবে প্রচারণা শুরুর সময় সকাল ১০টা ঠিক রাখা হয়েছে।
ভোট দেয়ার বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, ভোট দেয়ার গোপন বুথের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটির খসড়া প্রস্তাবনাগুলোই চূড়ান্ত হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার হবেন অনার্স, মাস্টার্স এবং এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য, তারাই প্রার্থী হতে পারবেন। এক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ৩০ এর মধ্যে (তফসিল ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত)।
সান্ধ্যকালীন, পেশাদারী অথবা বিশেষ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন না। ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থী এবং সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরিতে যোগদান করা শিক্ষার্থীরাও।
এছাড়া, অন্য প্রতিষ্ঠানে অনার্স করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু মাস্টার্স অথবা এমফিল করছেন তারা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না।