নারী নির্যাতন প্রতিরোধ জাগ্রত কমিটি গঠনের লক্ষে সার্কেল এএসপির মত বিনিময়

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবল নবীগঞ্জের দায়িত্বরত সার্কেল সিনিঃ সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর উদ্যোগ হতে যাচ্ছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ জাগ্রত কমিটি।

এ কমিটি গঠনের লক্ষে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজমা বেগমের এর সমন্বয়ে নবীগঞ্জ থানায় মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্যাতিত নারীরা মৌখিক আইনগত সহযোগীতা এবং মামলা ছাড়াই আইনী পরামর্শ ও সহায়তা পাবেন। পুলিশের সহযোগীতায় দায়িত্ব পালণ করবে কমিটির নারী নেতৃবৃন্দরা। কমিটি শিগগিরই গঠন করে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হবে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর উদ্যোগে হবিগঞ্জ জেলায় এই প্রথমই হবে নবীগঞ্জ উপজেলায়।

আলোচনার সর্বসম্মতিক্রমে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজমা বেগমের সমন্বয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভায় ৩ জন মহিলা কাউন্সিলর নিয়ে প্রথমে পৌরসভার ভেতরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে। এতে প্রতিটি কমিটিতে ২৫ জন্য সদস্য থাকবেন। বাকি কমিটি যথা সময়ে গঠন করা হবে। এ কমিটিতে থাকবেন বিভিন্ন ক্যাটাগরির দক্ষ নারী কর্মীরা।

এবিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর জানান, নারীদের সুবিধার্থে নারী বিষয়ক যে কোন অভিযোগ মৌখিক গ্রহন করে তাৎক্ষনিক আইনগত সহযোগীতা ও মিমাংসার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও যৌন হয়রানী রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধে, বাল্য বিবাহ রোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে এ কমিটি। উক্ত কমিটি হবে নিপিড়ীত নির্যাতিত নারীদের জন্য।

নারী নির্যাতন সম্পর্কিত মৌখিক অভিযোগ সমূহ গ্রহণ করে সেগুলি সমাধানের জন্য জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে কমিটি। আর যেসব অভিযোগের নিস্পত্তি সম্ভব নয় সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে। সার্বিক সহযোগীতায় থাকবে পুলিশ প্রশাসন।

এদিকে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজমা বেগম বলেন, নিপীড়িত নির্যাতিত নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষের বিবেক জাগ্রত করার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন এজন্য তিনি এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, নিঃসন্দেহ তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ আমরা আশা করি তৃণমূল পর্যন্ত বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে নির্যাতনের শিকার নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নির্মূলের অগ্রণী ভূমিকা পালণ করবে উক্ত কমিটি। আমরা বিশ্বাস করি একমিটি করলে নারীদের আইনগত সেবা পেতে সহজ হবে এবং নারী হয়রানী অনেকটা কমে আসবে।