উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ সোমবার (১৪ জানুয়ারী) নড়াইলে পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয।
এটিকে মকরসংক্রান্তি বলা হয়ে থাকে। স্থানীয় ভাষায় এটিকে ’পুষুরা” বলা হয়। নড়াইলে বাংলা পৌষ মাসেরশেষ দিনে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। হিন্দুরা এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে খোলা (পিঠা তৈরির মাটির পাত্র) পোড়ানোর মধ্যে দিয়ে পিঠা বানানো আরম্ভ করে। তিনদিন ধরে এই পিঠা তৈরির উৎসব চলবে।
নড়াইলে এ উৎসবে প্রতিটি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ির উঠানে শোভা পাচ্ছে আলপনা। চালের গুড়া দিয়ে আলপনার রং তৈরি করা হয়। চালের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে হাত দিয়ে বাড়ির উঠানে নানা রকম নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। কখনো ফুল আবার অন্য নকশাও আলপনা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়।
দিনভর চালেরগুড়া তৈরির পর বিকেলে প্রতিটি বাড়িতেই চলে আলপনা তৈরির কাজ। বাড়ির সবাই মিলে আলপনা তৈরির পর সন্ধ্যায় চলে পিঠা তৈরি। সংক্রান্তি দিনে সকালে পিঠা-পুলি, পায়েস, দই-চিড়া, তিলু-কদমা আর নকুল-বাতাসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূলের আয়োজন হয়ে থাকে।
শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও আত্মীয়সহ প্রতিবেশীর বাড়ি যান। এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে বাড়িতে চলতে থাকে পিঠা তৈরির প্রস্তুতি। পৌষ সংক্রান্তি মানেই মিষ্টিপিঠে-পার্বন।
শুধুমাত্র ভোজন-রসিকদের রসনা তৃপ্তিই না, বরং পিঠেরপার্বন, কুটুম-অতিথিদের আতিথেয়তা করারও একটি সময়।