পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি

আব্দুল হাসিব, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: ২১জানুয়ারি/১৯ সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল আসছে ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষনা হতে পারে। তাই নড়েচড়ে বসেছে সাস্ভাব্য প্রার্থীরা।

এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। আর তাই এই নির্বাচনের প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি ঠান্ডা শীতকে অপেক্ষা করে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে চলেছেন জন সংযোগে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রত্যোকটি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জামাতের প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ কখনই বিজয়ী হতে পারেনি। দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাচনের শুরু থেকেই এখানে জামাতের প্রার্থী বিজয়ী হয়ে আসছে।

কিন্তু ‘সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট জেলার দুটি আসনসহ সারা দেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এবার পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদ গুলো পেতে অনেকটাই আশাবাদী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা এ ব্যাপারে তৃণমূল নের্তাকমীরা তাকিয়ে আছে কেন্দ্রের দিকে। তবে এবার জামায়াতে ইসলামীর সতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্ষমতাসীন আ.লীগ দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকের আশায় দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের ক্ষমতাসীনদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে প্রার্থীতার আবেদন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিকটাত্মীয়, শুভানুধ্যায়ী ও অনুগত নেতাকর্মীরা প্রার্থীতার জন্য ফেসবুকে চলাচ্ছেন প্রচারণা। কেউ কেউ নিজের ফেসবুক আইডি পোষ্ট দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জানান দিচ্ছেন।

এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই দলীয় কর্মকান্ডসহ নানান তৎপরতার ছবি ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন। এখন ফেসবুক খুললেই শুধু ভেসে ওঠে মনোনয়ন চাওয়ার আবেদন। ফেসবুকে কার পোষ্ট কত বেশী শেয়ার, লাইক, কমেন্ট হচ্ছে, সে নিয়েও চলছে আলোচনা সমালোচনা। ফেসবুকের পাতা যেন হয়ে উঠেছে মনোনয়ন লড়াইয়ের আদর্শ মাঠ।

আওয়ামীলীগের সাম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মাঠে গন সংযোগ করছেন গত উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহবুব চন্দন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ভাষা সৈনিক মরহুম মীর শহীদ মন্ডলের সু-যোগ্য পুত্র মনিরুল শহীদ মুন্না, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক মন্ডল।

উপজেলা নির্বাচনে মুখ খুলছেনা বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪ সালের নির্বাচনে চেয়াম্যান ও ২টি ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৩টিতেই জামায়াত-বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। অথচ এবারের উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের এখনো তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।