প্রবেশের সময়ই দিল না সিলেট সিক্সার্সরা হতাশ হয়ে ফিরেছেন অনেক দর্শক

আবুল হাসনাত, কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচটি মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় শুরু হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেই ভূতুড়ে ঢাকার চিত্র, দর্শক নেই মাঠে। কারও কারও মনে হচ্ছিল সিলেটের খেলা শুরু হলে ঠিকই দর্শকরা মাঠে আসবেন। ঘরের টিমের যে খেলা শুরু হলেই গ্যালারি পূর্ণতা পাবে।

সন্ধ্যা গড়াতেই সিলেট সিক্সার্সের খেলা শুরু হওয়া মাত্রই দর্শক আসতে শুরু করল| সন্ধ্যা হতে না হতেই ক্রিকেট প্রেমীরা স্টেডিয়াম মুখী। একে দল বেঁধে আসছেন তারা সিক্সার্সদের খেলা দেখবেন বলেই। কিন্তু দর্শকরা মাঠে আসতে শুরু করতেই বিপত্তি বাঁধালেন সিক্সার্সের ব্যাটসম্যানরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যে ভয়াবহ শুরু করেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার ফ্লেচারের বিদায়ের পরপরই যাওয়া-আসার মিছিল শুরু করেন ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের ওভার মাত্র ৫ ওভার। তাতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।

গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য স্টেডিয়ামের ফটকের লাইনে দাঁড়ানো অনেক দর্শকই তখন ফিরে যাচ্ছিলেন। অনেকেই এসে ছিলেন মাঠে এসে টিকিট কিনে খেলা দেখবেন। কিন্তু এমন ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে তারা আর গ্যালারিত প্রবেশ করেননি, ফিরে যান তারা। সিক্সার্সের ব্যাটসম্যানরা যে তাদের মাঠে প্রবেশের সময়ই দিলেন না।

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাজ্জাদ তিনি সহ বন্ধুদের নিয়ে গেছিলেন স্টেডিয়ামে গিয়ে কোনো টিকিট ম্যানেজ করে সিক্সার্সদের খেলা দেখবেন। কিন্তু তিনিসহ তার বন্ধুরা ফিরে গেছেন দলীয় ৮ রানে চার উইকেটের পতনের স্কোর মোবাইল স্কিনে দেখেই।

কানাইঘাট উপজেলা থেকে আসেন আবুল হাসনাত আসেন সিলেট সিক্সার্সের খেলা দেখতে| ভিতরে প্রবেশ করতেই সিলেট সিক্সার্সে ৬ উইকেট নেই এমন দুর্দশা দেখে ফিরে যান তিনি| শিবগঞ্জ স্কলার্স হোমের পাশের বাসার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ সবে মাত্র স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। ততক্ষণে ৫ উইকেট পড়ে গেছে সিলেট সিক্সার্সের। তার প্রিয় তারকা ওয়ার্নারও আউট। আর মাঠে প্রবেশ করেননি তিনি। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে অসন্তুষ্ট এই ব্যবসায়ী ফিরে যান বাসায়|

বিয়ানীবাজার থেকে কষ্ট করে আসেন নাহিদ সিলেট সিক্সার্সের খেলা দেখবেন বলে কিন্তু তিনি প্রবেশ করতেই প্রথম সারির ব্যাটসম্যান আউট|

এদিকে দর্শকদের এমন ফিরে যাওয়াতে কয়েকজন ক্রিকেট বিশ্লেষক খেলা আসা তারা বলেন, সিলেট পিচ মহাদেশীয় পিচ বানানো হয়েছে| এই পিচটি কি টি-২০ মাঠ ব্যাটিং সহায়ক না|

একদিকে যেমন ডিউ রয়েছে তেমনি কুয়াশা তাতে ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত খাবি খাচ্ছেন| অনেক ব্যাটসম্যানকে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে| কিউরেটররা কি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পিচ বানিয়েছেন এমনই তাদের মন্তব্য| কয়েকজন বেশ ক্ষুব্দ শুরে কথা বলতে শুনা গেছে|