বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে ডাবল লাইনের একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে

শাহিনুর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ বেশি বেশি রেল চলাচলের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, জাপান সরকারের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি ডাবল লাইনের রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে করে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সম্প্রসারিত হবে। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী। পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বয়স মাত্র আট বছর হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকার এরই মধ্যে অনেক গুলো মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

ভারতের সহযোগিতায় সৈয়দপুরে আরও একটি রেল কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন নতুন কোচ নির্মাণ করা হবে। ফলে বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরশীলতা কমে যাবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে রেলের ১০ হাজার লোক ছাঁটাই করা হয়েছে। নিয়মিত অবসর প্রক্রিয়ার কারণে রেলের জনবল আরও কমছে। নতুন লোক নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকট নিরসনে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলওয়ে স্টেশন চালু করা হবে।

জনগণের সেবার জন্য রেল। তাই অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য বিদেশ থেকে আড়াইশ রেল কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এসব দিয়ে একাধিক যাত্রী বহন করা হবে। আগামী পাঁচবছরে রেলের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, বেশি বেশি রেল চলাচলের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে এর পাশেই একটি ডাবল লাইন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। জাপান সরকারের অর্থায়নে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে সকালে মন্ত্রী সৈয়দপুর রেল কারখানায় এসে পৌঁছলেতাকে ফুলের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রেলওয়ে কারখানার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম রেলপথ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ অদম্য স্বাধীনতায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তিনি রেল প্রাঙ্গণে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শামসুজ্জামান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, পশ্চিমরেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী রেলওয়ে কারখানার সম্মেলন কক্ষে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদরে সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।