ভগ্নিপতির বাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলার শিকার শ্যালক

আবদুল্লাহ নোমান, ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভগ্নিপতির বাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হলেন শ্যালক মাকসুদুর রহমান রুবেল (৩৫)।

বৃহস্পতিবার সকালে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আহমদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তোফাজ্জেল হোসেন মাঝি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তোফাজ্জেল মাঝির ছেলে ইদ্রিস, হাদিস ও লিখনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসি মাকসুদের (৩৫) উপর হামলা চালায়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত মাকসুদ কে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাকসুদুর রহমান চরফ্যাশন উপজেলার আহমদপুর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের শ্যালক।

স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, চরফ্যাসন উপজেলার আহমদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের তোফাজ্জেল হোসেন মাঝি বাড়ি এলাকায় মৃত মুসলিমের ছোট ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে তার সৎ ভাই তোফাজ্জলের সাথে দির্ঘদিন ধরে জমি জমা সংকান্ত্র বিরোধ চলছিল।

তোফজ্জল দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই শফিকুল কেওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে আসছিল। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য বেক্তিদের সহযোগিতায় শফিকুল তার পৌত্রিক সম্পত্তিতে অধিকার ফিরে পায়। এতে সৎ ভাই তোফাজ্জল গং ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

গত কয়েক মাস আগে শফিকুল তার জমিতে ঘর তোলে। ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে তোফাজ্জলের ছেলে ইদ্রিস, হাদিস বিভিন্ন সময়ে শফিকুল কে ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।

বৃহস্পতিবার সকালে শফিকুলের শ্যালক মাকসুদুর রহমান রুবেল তার বোনের বাড়িতে যায়। সকাল ১১টার দিকে শফিকুল ইসলাম তার বাড়িতে স্যানেটারি টয়লেট নির্মান করছি। এসময় তোফজ্জলের ছেলে ইদ্রিস, হাদিস এবং হাদিসের ছেলে লিখনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসি শফিকুল ইসলামকে টয়লেট র্নিমানে বাধা দেয় এবং মারধর করার চেষ্টা করে।

ভগ্নিপতি শফিকুল কে বাচাতে মাকসুদুর রহমান এগিয়ে গেলে ইদ্রিস, হাদিস ও লিখন এলোপাথারি ভাবে হত্যার উদ্দ্যোশে মাকসুদ কে কুপিয়ে জখম করে। এসময় মাকসুদের আত্বচিৎকারে স্থানিয়রা এগিয়ে এসে মাকসুদকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাসন উপজেলা সাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশাঙ্কা জনক হওয়ায় মাকসুদ কে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

এ ব্যাপরে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে যানা যায়। এদিকে অভিযুক্ত ইদ্রিস, হাদিস গংদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান জানান সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে পুলিশ অবগত আছে। সন্ত্রাসীরা হামলার পর মাকসুদুর রহমানের রক্তপাত দেখে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে হামলাকারী ৬ জনকে আসামী করে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১২ / ২৪-০১-২০১৯। পুলিশ আসামী গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।