মনোনয়ন পেলে বিজয় অর্জনে মাধ্যমে শিবগঞ্জকে ডিজিটালে পরিণত করবো ইনশাল্লাহ-আতাউর রহমান

মোঃ শাহ্ আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শিবগঞ্জে অন্যান্য নেতাদের মত দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন এবং সংগে সংগে উপজেলা প্রত্যান্তাঞ্চলে গণসংযোগও শুরু করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান।

স্বাধীনাত উত্তরকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সাংসদ, বর্ষিয়ান জননেতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন মরহুর ডাক্তার মইন উদ্দিন আহমদ মন্টু ডাক্তারের হাত ধরে রাজনীতি আসা আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে বর্তমান থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত গণসংযোগ করছেন।

তুলে ধরছেন আওয়ামীলীগ সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়ন ও নাশকতা সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক ও মাদক রোধে সফলতার চিত্র তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে চেষ্টা-তদবির অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আশাবাদী জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিবেন।

তিনি বলেন মনোনয়ন পেলে আমি বিজয়ী হবো। কারণ বর্তমানে দলীয় অবস্থান ভাল। তাছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নের যে চিত্র তা গত নির্বাচনে মাধ্যামে জনগনের কাছে প্রমানিত।

তিনি আরো বলেন, আমি ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি প্রবেশ করে এ পর্যন্ত আওযামীলীগের রাজনীতির সংগে জড়িত আছি। আমার জীবনে ১৯৮৫সাল থেকে ৫বার থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সুসংগঠিত করেছি।

দুইবার পাকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নদী ভাঙ্গন কবালিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন কালে আমি পাকা ইউনিয়নের সকল সমস্যার সমাধানের জন্য বারবার চেষ্টা করেছি এবং আমার আমলে সবচেয়ে বেশী সমস্যার সমাধান করেছি।

বর্তমানে আমি একজন আইনজীবি হিসাবে কর্মরত থেকে সার্বক্ষনিক দলীয় কর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছি। ছাত্রজীবন থেকে আমি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়সহ সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন ধরনের কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োজিত থেকে কাজ করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি।

২০১৩-১৪ সালে যখন জামায়াত বিএনপির তান্ডবে শিবগঞ্জ বাসী অতিষ্ঠ তখন আমি জনগণ ও দলীয় নেতা কর্মীদের পাশে থেকে খোঁজ খবর নিয়েছি এবং দলকে সুসংগঠিত রাখতে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জীবনের ঝুঁকি বহন করে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছি।

যদিও জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের কারনে নির্বাচনে তাদের সন্ত্রাসী কার্যাকলাপে আওয়ামীলীগ সমর্থিত অধিকাংশ সাধারণ ভোটার ভীত সন্ত্রস্ত থাকায় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারায় বিজয়ী হতে পারেনি।

সবশেষে থানা আওয়ামীলীগে সাধারন সম্পাদক হিসাবে গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার প্রত্যান্তাঞ্চলের তৃনমূল পর্যায়ের সকল নেতা কর্মীকে এক কাতারে নিয়ে দলীয় প্রার্থী ডাক্তার শিমুলের পক্ষে নৌকা প্রতীকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো বলে আমি শতভাগ বিশ্বাসী। আর নির্বাচিত হতে পারলে বর্তমান এমপির সাথে পরামর্শক্রমে শিবগঞ্জ যাবতীয় উন্নায়ন কাজ করে শিবগঞ্জকে আধুনিক উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।