মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে বিপর্যয়ে খুলনা

২৩৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু করে খুলনা। দুই ওপেনার টেইলর ও জুনায়েদ সিদ্দিকী তাদের ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান করে। কিন্তু ৫.৩ ওভারে ফিরে যান জুনায়েদ। মেহেদি হাসানে বলে সামসুর রহমান শুভর হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৪ বলে ২৭ রান করে ফেরেন তিনি। হাঁকিয়েছেন ৪ টা চার ও ১ টি ছক্কা।

জুনায়েদ আউট হলেও অন্য প্রান্তে তাণ্ডব চালান টেইলর। সঙ্গে ডেভিড মালান। কিন্তু মালানের তাণ্ডব বেশি দূর যেতে দেননি আফ্রিদি। নিজের প্রথম ওভারের ৪ নম্বর বলে ফিরিয়ে দেন মালানকে। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মেহেদি হাসানের হাতে ধরা পড়েন। ১০ বলে ১৩ রান করেন। তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন দলীয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

মাহমুদউল্লাহ এসে ক্রিজে সেট হলেও তিনিও আফ্রিদির শিকার হন। ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে বিপদে ফেলে সরাসরি বোল্ট হন। ৭ বলে ১১ রান করেন তিনি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি খুলনা টাইটানস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ০১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা টাইটানস।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে কুমিল্লা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস খুলনার বোলাদের বেশ ভালো ভাবেই মোকাবেলা করে। দু’জনেই ছয়-চারের প্রথম ছয় ওভারকে কাজে লাগিয়েছেন। তারা দুজন মিলে ৫৮ রান করেন। কিন্তু খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডেভিড ভিসের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান তামিম।

২৯ বলে ২৫ রান করেন তামিম। এরপরে বলে এনামুল হককে আউট করেন। ১ বলে খেলে কোন রান না করে শান্ত হাতে ধরা পড়েন। তামিম-এনামুল আউট হলেও ঠিকেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এভিন লুইস। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে কিছুটা ব্যথা পেয়েছেন তিনি। অনেকটা ব্যথা নিয়েই এ অর্ধশতক পুরন করেন তিনি।

৩১ বলে ৫০ রান করেন তিনি। লুইসের পর তাণ্ডব শুরু করেন ইমরুল। কিন্তু শরিফুলের ১৫ ওভারের তিন নম্বর বলে পায়ে লেগে আহত হন ইমরুল। সঙ্গে সঙ্গে এলভি হয়ে ফিরে যান। তবে যাওয়ার আগে লুইস-ইমরুল মিলে ৭ ওভারে ৯৭ রান করেন। ইমরুল করেন ২১ বলে ২ ছয় ও ৪ চারে ৩৯ রান।

এরপর ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। পেরেরা এসেই প্রথম বলে ৪ হাঁকান। তবে তিনি এসে বেশি দূর এগুতে পারেননি। কিন্তু আউটের আগে মাত্র ৪ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১১ রান করেন। ব্রেথওয়েটের বলে ভিসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। থিসারা পরে আসেন বোম বোম আফ্রিদি। তবে তার বোম বোম দেখাতে পারেননি। ব্রেথওয়েটের বলে তাইজুলের হাতে ধরা পড়ে ২ বলে ১ রান করেন ফিরে যান।

এক প্রান্তে অন্যরা আউট হলেও অন্য প্রান্তে ইনজুরি নিয়ে নিজের মাইলফলক তুলে নিলেন এভিন লুইস। হাঁকিয়ে ৯ টি ছক্কা। ৫ চারে সেঞ্চুরি হাঁকান। ৪৭ বলে ১০২ রান করে তিনি। ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি তার মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৪৯ বলে ১০৯ রান করে ১০ ছয় ও ৫ চারের সাহায্যে অপরাজিত থাকেন। আর ১৫ বলে ২৮ রান অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানে বিশাল রান করে কুমিল্লা।

এই রানের মাধ্যমে বিপিএলের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল কুমিল্লা। যা বিপিএলের ইতিহাসে ও এবারের আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে এবারের আসরে এই মাঠেই চিটাগংয়ের বিপক্ষে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের স্কোর করে রংপুর। আর আজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৭ রান করল কুমিল্লা। আর জিততে হলে খুলনাকে করতে হবে ২০ ওভারে ২৩৮ রান।