রাবিতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

হাসান মাহমুদ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিন হাজার টাকা মুক্তিপণ (চাঁদা) দাবির ঘটনা ঘটেছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর নিউ ডিগ্রি কলেজের দুই ছাত্রী রাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসলে এ ঘটনা ঘটে। তবে এদের মধ্যে এক ছাত্রীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসলে দুই বান্ধবীর মধ্যে একজনকে আটকে রেখে ছাত্রলীগ পরিচয়ে তিন যুবক তার কাছে চাঁদা দাবি করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে করে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগনেতাদের পরিচয় জানা যায় নি।

ওই দুই ছাত্রীর বন্ধু বিভাষ জানান, তার দুই বান্ধবী শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ক্যাম্পাসে আসে। পরে সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয়ে তিন যুবক তার বান্ধবীদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের পেছনে নিয়ে যায়। তারা এক হাজার টাকার নিয়ে একজনকে ছেড়ে দেয়। এ সময় আরেক বান্ধবীকে আটকে রাখা হয়। পরে তার ফোন থেকে তাকে ফোন করে তিন হাজার টাকা দিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে যেতে বলে ওই তিন যুবক।

পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানায়। পুলিশ যেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে মেয়েটির অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যান। তবে পুলিশ ওই যুবকদেরকে আটক না করে উল্টো ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন বিভাষ।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রাতেই সাংবাদিকরা ফাঁড়িতে যান। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফাঁড়িতে আসেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তারা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। চলে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেছি।’

ছাত্রলীগ পরিচয়ে টাকা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।’জানতে চাইলে মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যেয়ে আমরা মেয়েটিকে একাই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। কারা তাকে আটকে রেখেছে জিজ্ঞাসা করলে ওই যুবক গুলো চলে গেছে বলে মেয়েটি জানায়। পরে মেয়েটিকে আমরা ফাঁড়িতে নিয়ে এসে তার অভিভাবককে খবর দেই। পরে তার অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যান। আর এ ঘটনায় কোন মামলা বা অভিযোগ করেনি কেউ।’