লক্ষ্মীপুরে পুলিশ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

মো: রবিউল ইসলাম খান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের কাজে বাধা, মারধর ও সদর হাসপাতালে ভাংচুরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানসহ যুবলীগের ২৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করছে পুলিশ।

আটককৃত যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান, রুপম হাওলাদার, ইকবাল হোসেন, হিমেল ক্বারী, মিজানুর রহমান, আশিক মাহমুদ, আকিব খাঁন, রেজাউল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, আজগর আলী ও মোহাম্মদ আলীকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সবাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতে সদর থানার এস আই আবদুল আলীম বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এর ঘটনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ১২জনকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের কাজে বাধা, মারধর এবং হাসপাতালে বিশৃংখলা ও ভাংচুর করার অভিযোগে ২৬জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। অপরাধী যতবড়ই হোক, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।

উল্লেখ্য, সদর উপজেলার লাহারকান্দী ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবকদেলোয়ার হোসেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করে। উক্ত মামলায় মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেন দেলোয়ার। বুধবার সকালে সে একটি ছুরি নিয়ে আবারও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে আক্রমন করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে যান।

এ সময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আবদুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ সদস্য নয়ন, মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ প্রায় ১০-১২ জন।