সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ চারের পথে রাজশাহী

সিলেটের দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই শুরুতে উইকেট হারায় রাজশাহী। দলীয় ১৪ রানের মাথায় বিদায় নেয় ওপেনার জাকির হোসেন। তাসকিনের বলে ইবাদাতে হাতে ধরা পড়ে ৭ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন তিনি। তবে জাকির আউট হলেও তাণ্ডব চালান চালর্স। তবে কাপালির বলে ২৬ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর ফিরে যান শাহরিয়ার নাফিস। কাপালির বলে আফিফের হাতে ধরা পড়ে ১৩ বলে ৯ রান করে ফিরে যান তিনি। তবে লরি ইভান্স ও রায়ান টেন দলকে বিপর্যয়ের থেকে টেনে তোলেন। তুলে নিলেন নিজের আরেকটি অর্ধশতক। ২৬ বলে ৫২ রান করে নিজের আরেকটি অর্ধশতক হাঁকান তিনি।

অর্ধশতক হাঁকানের পথেও ছিলেন রায়ান। সোহেল তানভিরের বলে পুরানের হাতে ধরা পড়ে ২ ছয় ও ৩ চারে ১৮ বলে ৪২ রান করে ফিরে যান তিনি। রায়ান আউট হলেও কাজে কাজ যা করার করে গেছেন লরি ইভান্স। সোহেল তানভীরের বলে আফিফের এক দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যাওয়ার আগে ২ ছয় ও ১০ চারে ৩৬ বলে ৭৬ রান করেন।

লরি আউট হলেও ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার আর সৌম্যে ব্যাটিংয়ে ২ ওভার বাকি থাকতেই জয় পায় রাজশাহী । সৌম্য করেন ২ বলে ২ রান। জঙ্কার করে ৬ বল আট রান। এ জয়ে শেষ চারের আশা জাগিয়ে রাখলো রাজশাহী।

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ৩৮ তম ম্যাচে আজ বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী কিংস ও সিলেট সিক্সার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৬ টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেটের অধিনায়ক অলক কাপালি।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে শেষ বলে ওপেনার লিটন দাস বিদায় নেন আরাফাত সানির বলে এলভির ফাঁদে পড়ে। ৬ বলে ১০ রান করেন তিনি। একটি ছয় ও একটি চার মারেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন জেসন রয়। কিন্তু তিনি কিছু করার আগেই মোস্তাফিজের বলে জনসন চালর্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ১ ছয় ও ১ চারে ৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি।

জেসন রয় আউট হলেও ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান। এসে শুরু হয় ব্যাটিং ঝড়। আর অন্য প্রান্তে ওপেনার আফিফের চলে ব্যাটিং ঝড়। তবে আফিফের তাণ্ডবে আঘাত হানেন মিরাজ। ২ ছয় ও ২ চারে ২৫ বলে ২৯ রান করে মোস্তাফিজের বলে ফিরে যান। তবে তিনি আউট হলে ক্রিজে এসেই তাণ্ডব শুরু করে নিকোলাস পুরান।

পুরানের পাশাপাশি তাণ্ডব চালান সাব্বির। নিজের আরেকটি অর্ধশতক থেকে মাত্র ৫ রানে দূরে থাকতে রাব্বির বলে রায়ান টেন ডেসকটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ২ ছয় ও ৪ চারে ৩৯ বলে ৪৫ রান করে ফিরে যান তিনি। রাব্বির পরে বলে ফিরে যান মোহাম্মদ নওয়াজ। কোন রান না করে চালর্সের হাতে ধরা পরেন তিনি।

তবে সাব্বির না পারলেও টর্নেডো ব্যাটিংয়ে চালিয়ে মাত্র ২১ বলে ৫০ রান করে অর্ধশতক হাঁকান তিনি। পুরান করেন ৩১ বলে ৭৬ রান। কাপালি করেন ১০ বলে ১০ রান। শেষ পর্যন্ত পুরানে টর্নেডো ইনিংসে ২০ ওভারে ৫ উইকেট ১৮৯ হারিয়ে রান।