সিলেট নগরে ৭ হাজার অবৈধ সংযোগ, বকেয়া পানির বিল ১১ কোটি টাকা

আবুল হোসেন, সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেট নগরের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগছেন। সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) বৈধ গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ি পর্যাপ্ত পানি উৎপাদন করলেও অবৈধ সংযোগের কারণে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে নগরবাসীকে নানা সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে।

সিটি করপোরেশন কর্তৃক সরবরাহকৃত পানির মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের পানির বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা। অন্তত ৪ হাজার গ্রাহক কোন দিনই পানির বিল পরিশোধ করেননি। অবৈধ পানির সংযোগের বন্ধে ও বকেয়া অর্থ আদায়ে সিসিকেরও কোন তৎপরতা নেই।

সিটি করপোরেশন প্রতিষ্টার দেড় যুগ হয়ে গেলেও দক্ষিণ সুরমায় ৩ টি ওয়ার্ডে এখনো পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারেনি সিসিক। সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানান যায়, সিলেট নগরে বৈধ পানির গ্রাহক১ ৪ হাজার ৭৪১ জন। তাদের প্রতিদিনের চাহিদা গড়ে প্রায় ৪ কোটি লিটার পানি। সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২ টি ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে যার মধ্যে চালু রয়েছে ৩৬ টি। এছাড়া দুইটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মধ্যে একটি চালু আছে।

সিসিকের একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ৩৬ টি ডিপটিউবওয়েলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব। শুধুমাত্র ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদন হয় ৮০ লাখ লিটার পানি। যা দিয়ে সিসিকরে বৈধ গ্রাহকের চাহিদা মেটানো যায়। সিসিকের কর্তপক্ষর দাবি, নগরে প্রায় ৭ হাজার অবৈধ গ্রাহক রয়েছে। তাদের কারণে পানির সংকট দেখা দেয়। এই ৭ হাজার অবৈধ সংযোগে প্রতিদিন ২কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে হয়।

বিশুদ্ধ পানির সংকটে সুবিদবাজার, দর্শনদেউড়ী, কুমারপাড়া, সোনাপাড়া, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, দাড়িয়াপাড়া, শেখঘাট, মুন্সিপাড়া, কলাপাড়াসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিয়মিত দূর্ভোগের পোহাতে হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে আমাদের ভর্তুকি দিতে হয়। অবৈধ সংযোগবন্ধে আমাদের অনেক চেষ্টা আছে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ সংযোগ পেলে তাদের যন্ত্রপাতি ও মোটর জব্দ করা হয়। যাদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে আমরা চেষ্টা করছি। অবৈধ সহযোগ বন্ধেও পানির সঠিক বিল পেতে আমরা পানি সরবরাহে মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী বদরুল হক বলেন, অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমাদের চেষ্টা রয়েছে। বকেয়া পানির বিল আদায়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।