হিমশীতল পানিতে চলে পাথর সংগ্রহের কাজ

এম মোবারক হোসাইন, তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সর্ব্ব উত্তরের তেঁতুলিয়া উপজেলার আন্তঃসীমান্ত নদী মহানন্দার হিমশীতল পানি আর বালির সাথে বয়ে আসা নুড়ি পাথরের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অর্ধ শতাধিক গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

বছরের শীত মৌসুমের সময়ে মহানন্দা নদীর বরফগলা পানিতে সারাদিন ছোট, বড় এবং মাঝারি ধরনের নুড়ি পাথর সংগ্রহের কাজ চলে শ্রমিকদের। সেই পাথরের সাথেই জড়িয়ে গেছে এই এলাকার অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবন। মহানন্দার পাথরেই হয়েছে এসব মানুষের কর্মসংস্থান এবং জীবন-জীবিকা। জীবন মান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহূত হচ্ছে মহানন্দার এই নুড়ি পাথর।

পাথর শ্রমিকেরা পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য এই শীতকে উপেক্ষা করে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার পাথর শ্রমিকেরা সারাদিন কাজ করে বাংলাদেশ-ভারতকে ভাগ করা হিমালয়ের হিম শীতল মহানন্দা নদীর পানিতে।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিক মোমিনপাড়ার গ্রামের আমিরুল বলেন, শীতের মধ্যেও পরিবারের কথা চিন্তা করে প্রতিদিনই নদীর ঠাণ্ডা পানিতে যেতে হয় পাথর তুলতে।

আলমগীর হোসেন নামে আরেক পাথর শ্রমিক বলেন, বর্তমানে কোনঠে মোর কাজ মিলে না তাই ঠান্ডা পানিত মুই পাথর তুলবা যাছু। দিনে ৪শ থেকে ৫শ টাকা পাছু এইলা লে মোর সংসার চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই জনপদের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন দুর্ভোগে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।