১৪ বছর পর কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে শিক্ষত হত্যা মামলার রায়

এম.এম.রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবু তাহের মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) ১৪ বছর আগের একটি মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এতে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন এবং সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানানা দিলে তাদের আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন আমিনুল হক, রতন মিয়া, রিপন মিয়া, নূর উদ্দিন, দুলাল মিয়া, মোস্তফা, রাশিদ, আবু সাহিদ ও নূর উদ্দিন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত সব আসামি আদালতে ছিলেন।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সহিদ মিয়া নামে এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আসামিরা সবাই হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর কাটিহারি গ্রামের বাসিন্দা।

২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল বীর হাজিপুর গ্রামের সাহেদ আলী (৭০) হত্যা মামলায় আদালতএ রায় দেয়। আদালতের এপিপি মোস্তাক হোসেন মামলার নথির বরাতে বলেন, জিনারি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আমিনুল হক নিরীহ মানুষকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় পিপলাকান্দি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক সাহেদ আলী এর প্রতিবাদ করেন। এ কারণে আমিনুল তার প্রতি ক্রুদ্ধ হন এবং লোকজন নিয়ে হামলা চালান। “তাকে ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।”পরে তার ছেলে ফরিদ মিয়া ১০ জনের বিরুদ্ধে হোসেনপুর থানায় মামলা করেন। সাহেদ আলীর মৃত্যুর পর আদালতের নির্দেশে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

এপিপি মোস্তাক বলেন, ১৪ বছর পর বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত নয়জনকে দৌষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অশোক সরকার।