ইনজুরি থেকে ফিরে গাপটিলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

বাংলাদেশের দেয়া ২৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে নিউজিল্যান্ড দলে দুই ওপেনা। এরই মধ্যে দুর্দান্ত অর্ধশতক তুলে নিলেন হেনরি নিকোলস। ৭২ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। তবে মেহেদি মিরাজের বলে ফিরে যান তিনি। ৮০ বলে ৫ চার হাঁকিয়ে ৫৩ রান করে ফিরে যান হেনরি। হেনরি আউট হলেও অন্য প্রান্তে মার্টিন গাপটিলও অর্ধশতক হাঁকালেন।

৫৭ বলে নিজের অর্ধশতক হাঁকান গাপটিল। হেনরি আউট হলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক উইলিয়াম সন। তবে বেশি সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ২৯ ওভারের ৫ নম্বর বলে মাহমুদউল্লাহর বল ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন উইলিয়াম। এতে এলভির আবেদন করে রিয়াদ। তবে আউট দেননি আম্পায়ার। আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নিলেন মাহমুদউল্লাহ।

রিভিউ দেখা যায় বল লেগ ষ্টাম্পে লাগে ফলে থার্ড আম্পায়ার আউট দিতে বাধ্য হন। ২২ বলে ১১ রান করে ফিরে যান উইলিয়াম। উইলিয়াম আউট হলেও নিজের উইকেটটি ঠিকেই ধরে রাখেন গাপটিল। হাফসেঞ্চুরির পর তুলে নিলেন নিজের আরেকটি সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে নিজে ১৫ তম সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।১০৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সেঞ্চুরি করেন তিনি

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ ৪১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান।

এর আগে বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আজ শুরু হয়েছে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ২৩২ রান করেছে বাংলাদেশ।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৫ রানের মাথায় ৫ রান করে বোল্টের বলে আউট হন তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার লিটন দাস আউট হয়েছেন মাত্র ১ রান করেই।

এরপর মুশফিক ও সৌম্য মিলে চেষ্টা করে বিপর্যয় কাটিয়ে ফেরার জন্য। তবে সেই চেষ্টা সফল হওয়ার আগেই বিদায় নেন তারা দুজনেই। দলীয় ৪২ রানের মাথায়ই বিদায় নেন দুজন। বোল্টের অস্টম ওভারের শেষ বলে ৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। আর পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য আউট হন ২২ বলে ৩০ রান করে।

সৌম্যর বিদায়ের পর মিঠুন ও রিয়াদ মিলে আরেক দফা চেস্টা করেন বিপর্যয় কাটানোর। কিন্তু এবারও ব্যর্থ তারা বড় জুটি বাধতে। দলীয় ৭১ রানের মাথায় ১৩ রান করে আউট হয়ে যায় রিয়াদ। লুক ফার্গুসনের বলে রস টেলরের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

রিয়াদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের বিপর্যয় কাটানোর জন্য লড়াই করে মিঠুন ও সাব্বির। কিন্তু স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাব্বির ১৩ রানে আউট হলে শেষ হয় এই লড়াইও। সাব্বিরের পর দারুণ খেলতে থাকা মিরাজও বিদায় নেয় অসহায় একটি বলকে সুইপ করতে গিয়ে। ২৭ বলে ২৬ রান করে দলীয় ১৩১ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।

এরপরই মুলত আসল লড়াইটা করে বাংলাদেশ। মিঠুনের সাথে যোগ দেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। স্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে লড়াই করতে থাকেন দুজনে। অনেকটাই সফল হয় তারা। দুজনে মিলে ৮ম উইকেট জুটিতে ৮৪ রানের মহামুল্যবান জুটি গড়ে দলের রান ২০০ পাড় করেন।

দলীয় ২১৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪১ রান করে সাইফউদ্দিন বিদায় নিলে ভাঙে বাংলাদেশের প্রতিরোধ। এরপর দলীয় ২২৯ রানের মাথায় অর্ধশতক করা মোহাম্মদ মিঠুনও বিদায় ব্যক্তিগত ৬২ রান করে। এদের বিদায়ের পরপরই প্রতিরোধ ভাঙে বাংলাদেশের। শেষ উইকেট হিসেবে মুস্তাফিজ আউট হলে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৩২ রানে।