উন্নত নগরী গড়তে মেয়র আরিফের ‘অ্যাকশন’

টানা ২য় বারের মতো সিলেটের মেয়রে দায়িত্ব পেয়ে ‘বেপরোয়া’ হয়ে উঠেছেন মেয়র আরিফ। তবে এই ‘বেপরোয়া’ সিলেট নগরীকে উন্নত করার জন্য। তার এই অ্যাকশনের কারণে সিলেট নগরীর রাস্তায় ভাঙা-গড়ার খেলা চলে। তবে এ ভাঙা-গড়া স্বস্তির। এ ভাঙা-গড়ায় ভোগান্তি যতটুকু তারচেয়ে বেশি প্রশান্তির। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। যেনো বিশ্রাম নেই। অবিরাম ছুটে চলা এক নাবিক যেনো হাল ধরেছেন এ নগরীর।

সারা বাংলাদেশে নৌকার জয়জয়কার ছিলো। তখনি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে আবারও দায়িত্ব পান। প্রথম মেয়াদে উন্নত নগরী গড়তে আরিফের ‘অ্যাকশন’ সিলেটবাসীর মনে দাগ কাটে। আর তাই নৌকার জয়রথেও নৌকা ও ধানের শীষ ছাপিয়ে স্মার্ট নগরী গড়তে ব্যক্তি আরিফকেই বেছে নেন ‘দ্বিতীয় লন্ডন’ খ্যাত সিলেটের নাগরিকরা।

আর সে কারণে তিনিও সাধারণ থেকে প্রভাবশালী, দিনমজুর-হকার থেকে মন্ত্রী-এমপি নগরের উন্নয়নে কারো কাছে করজোড় করছেন, কারো কাছে অনুরোধ মিনতি- সবই ঐ নগরীর জন্যই। স্মার্ট সিটি গড়তে কারও কাছে কোন ধরনের নতি স্বীকারে ‘বেপরোয়া’। তার এই বেপরোয়া নীতিই যেনো সিলেটবাসীর সবচেয়ে পছন্দ। সকাল-সন্ধ্যা-রাত আরিফের অ্যাকশন আছেই আছে।

তার এই অ্যাকশনের অংশ হিসেবে তিনি কখনো বা গভীর রাতে বিভিন্ন হোটেলে অভিযান, ফুটপাত হকারমুক্ত রাখতে সকাল-বিকাল অভিযান, সিসিকের ১০০কোটি টাকার উপরে বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান, নগরীতে অবৈধ স্থাপনায় অভিযান, ছড়া-খাল উদ্ধারে অভিযান, রাস্তা প্রশস্তকরণে অভিযান, যানজট, জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নানা নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে আরিফের প্রত্যহ অভিযান চলছেই।

এ বিষয়ে মেয়র আরিফ জানান, আমি এই সিলেট নগরীকে একটি সুন্দর, স্মার্ট এবং পর্যটক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। আর এজন্য আপনাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই নগরী আপনার আমার সকলের। তাই এই নগরী পরিস্কার পরিছন্ন রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সিলেট নগরী হচ্ছে একটি পর্যটন নগরী। হযরত শাহজালাল (রহ.) শাহপরাণ (রহ.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার এই পূণ্যভূমিতে প্রতিদিন দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটক বেড়াতে আসেন। নগরীর প্রত্যেকটি এলাকা শৃঙ্খলার মধ্যে থাকলে সিলেট হবে একটি স্মার্ট সিটি।