একই পরিবারের তিনজন, হৃদয়বিদারক দৃশ্য মর্গের সামনে

রাজধানীর চকবাজার এলাকা রাজ্জাক ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এগুলোকে রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

এদিকে স্বজন হারানো মানুষজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে মর্গের আশে পাশের চিত্র। নিখোজ মানুষটিকে পেতে মর্গের চারপাশে ভীর করছে স্বজনরা। এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের তৈরি হয়েছে এখানে।

তুহিন নামে একজন কেঁদে কেঁদে মোবাইল ফোনে বলছে, আব্বা, আমি তুহিন, এনামুল পুইড়া মইরা গেছে।

নিহত এনামুলের পুরো নাম কাজী এনামুল হক অভি। রুপালি ইনস্যুরেন্স ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।

আগুনে নিহত আরেক জন সিদ্দিকুল্লাহ। তিনি নোয়াখালি নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু একটি হোটেলে খেতে বসার পরই আগুনের সৃষ্টি আর সেখান থেকে বেড় হতে পারেননি তিনি।

আগুনে একই পরিবারের তিনজনকে হারিয়ে বিলাপ করছেন জরিনা মেগম। তার দুই ভাই ও এক ভাইয়ের তিন বছরের ছেলে পুড়ে গেছে আগুনে।

আগুনের সূত্রপাত হওয়া রাজ্জাক ভবনের সামনে ভবনের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন ছিল। তাদের চারজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে রোহান ও সিয়াম নামের দুইজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ওই এলাকার বাসিন্দা মো. মাহিরকে খুঁজে পাচ্ছে না তাঁর পরিবারের লোকজন। ভাইকে খুঁজতে ঢাকা মেডিকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বোন নূর এ আনহা।

এদিকে ওষুধ কিনতে গিয়ে নিখোজ হয়েছেন গিয়াস উদ্দিন নামের একজনের ভাবী। চুরিহাট্টার একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন গিয়াসের ভাবি। তারপরই তিনি নিখোজ।

এমন অসংখ্য স্বজন হারানো মানুষ এখন খুজছেন তাদের নিখোজ হওয়া মানুষটিকে।