একটি কারনেই এমন পরাজয় রংপুরের

গত বছর রংপুর রাইডার্স শিরোপা জিতেছিল যে পদ্ধতিতে, ঠিক একই উপায় অবলম্বন করেছিল এবারও। কিন্তু এবার তাদের সেই পদ্ধতি কাজে আসেনি। আর কাজে আসেনি বলেই গুরুত্বপূর্ন সময়ে হেরে বসে বিদায় নেয় দলটি।

বিপিএলে গত বছর ফাইনালে এই ঢাকার বিপক্ষেই ১৪৬ রান করেছিল গেইল। সেবারও রংপুরের ব্যাটিংয়ে ভরসা ছিল ম্যাককলামদের নিয়ে গঠিত বিদেশি তারকারা।

এবার আরও শক্তিশালী বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে এসেছিল তারা। এতটাই যে বিদেশি তারকাদের উপর ভর করেই গ্রুপ পর্বে শীর্ষে ছিল। গেইল ছিল পুরোপুরি ঘুমিয়ে। কিন্তু তাতে কি। রাইলি রুশো, আলেক্স হেলস, ভিলিয়ার্সের ঝড়ে উড়ে যেত প্রতিপক্ষ। এরাই ম্যাচ শেষ করে দিত। ফলে সহজেই শেষ চারে উঠে যায় রংপুর।

কিন্তু তাদের জন্য কঠিন পথ হয়ে যায় যখন গ্রুপ পর্ব শেষে ভিলিয়ার্স চলে যায় এবং আলেক্স হেলস ইনজুরিতে পড়ে বিপিএল ছাড়ে। দলের প্রধান দুই ব্যাটসম্যান চলে যাওয়ার পর দুটি ম্যাচ খেলে তারা। দুই ম্যাচই ছিল ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। আর দুটি ম্যাচেই হেরেছে তারা।

রংপুরে ভালো কোন দেশিয় ব্যাটসম্যান এবার ছিলই না। তাই ভিলিয়ার্স-হেলস চলে যাওয়ার পরও তাদের অভাব এত অল্প সময়ের মধ্যে পূরন করতে পারেনি দলটি। সেই পূরন করতে না পারার কারনে ক্ষতিটা হল অপূরনীয়।

প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তারা হেরেছিল কুমিল্লার কাছে। সুযোগ ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে। সেখানেও ঢাকার কাছে হেরে নিয়েছে বিদায়।