এখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী

মামলা চলমান থাকায় এখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জামায়াত নিষিদ্ধের মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। আশি আশা করি, কোর্টের রায় খুব শীঘ্রই যদি হয়ে যায়, তাহলে জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমানসহ দণ্ডিত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের আশাবাদও ব্যক্ত শেখ হাসিনা বলেন, যারা অপরাধী, মানুষ খুন করা থেকে শুরু করে যারা মানিলন্ডারিং করেছে, এতিমের অর্থ আত্মসাত করেছে, দুর্নীতি করেছে- এ সমস্ত মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত, যারা বিদেশে পালিয়ে আছে, পলাতক আসামি- তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের আলোচনা চলছে। আমি বিশ্বাস করি-আমরা তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে পারব।

জামায়াতকে নিষিদ্ধ এবং বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা হবে কি না? নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান।

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। এখন তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার একটা মামলা কোর্টে রয়ে গেছে। এই মামলা রায় যতক্ষণ না হবে সেখানে বোধ হয় আমরা কোন কিছু করতে পারি না। আমি আশা করি, কোর্টের রায় খুব শীঘ্রই যদি হয়ে যায় তাহলে জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল। এ দেশে গণহত্যা চালানো থেকে শুরু করে নারী ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের অপরাধ করেছিল। সেই অপরাধের বিচার স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর যখন জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই বিচার কার্য বন্ধ করে দেয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয় এবং ভোটের অধিকার দেয়। যেটা আমাদের সংবিধানে ছিল না।