কুমিল্লাকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে রংপুর

কুমিল্লার দেয়া মাত্র ৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরেরও মাত্র ৯ রানের মাথায় বিদায় নেয় ওপেনার মেহেদি মাহরুফ। ৫ বলে ৫ রান করে সঞ্জিত শাহা বলে ফিরে যান তিনি।

তবে আরেক ওপেনার গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে সহজে জয় তুলে নেয় রংপুর। এবারের বিপিএলে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি গেইল। তবে এই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মাত্র ৯.৩ বলে ১ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় রংপুর। গেইল করেন ৩০ বলে ৩৫ রান। এবি ডি ২২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো রংপুর।

এ আগে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের শনিবার (২ ফেব্রয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে রংপুর রাইডার্সে। প্লে অফ নিশ্চিত করায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স ম্যাচটি শুধুই নিয়ম রক্ষার।

ব্যাট করতে নেমেই প্রথম ওভারের প্রথম বলে কোন রান না করেই ফিরে যান তামিম। নাহিদুলের বলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ধরা পড়ে ফিরে যান তিনি। অথচ এবি ডি ভিলিয়ার্সের কাছ থেকেই ব্যাটিংয়ে কিভাবে ভালো করা যায় তার পরামর্শ নিয়েছিলেন। আর সেই এবি ডি ধরা পড়েই ফিরতে হলো তাকে।

এরপর নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকার আনামুল। ৯ বলে ৫ রান করে মিথুনে হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। নাহিদুলের পর অধিনায়ক মাশরাফির আঘাত। তিনি ফিরিয়ে দেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুলকে। গোল্ডের ডাক মারলেন ইমরুল।

ইমরুলের বিদায় হতে না হতে বিদায় নেয় শামসুর রহমান। ১১ বলে ১২ রান করে শহিদুলের বলে মিথুনের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি। উইকেট হারানোর মিছিল যেন থামছেই না। ক্রিজে আসতে না আসতে বিদায় নেন পেরেরা। মাশরাফির বলে এবি ডি হাতে ধরা পড়ে ৬ বলে ৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। তবে সবাই যখন যাওয়ার মিছিলে তখন কিছুটা হলেও দলের রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমান।

সবার চাইতে বেশি রান করে তিনিই। রবি বোপারার বলে ২৫ বলে ১ ছয় ২চারে ২১ রান করেন তিনি। এরপরের বলে ফিরে যান রনি। কোন রান না করেই সরাসরি বোল্ট হয়ে ফিরে যান তিনি। আর কোন বল না খেলে কোন রান না করে রান আউট হন ওহাব রিয়াজ।

জিয়াউরের সঙ্গে সঙ্গ দেয়া লিয়াম ধাওসনও বোপার বলে ২৪ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান। এর পর মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি বলে ১৩ বলে ২ রান করে আউট হন সঞ্জিত শাহা। ওয়াকার সালামখেলি ৭ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর শেষ পর্যন্ত ১৬.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭২ রান করে কুমিল্লা।