কুমিল্লার শিরোপা জয়ের নায়ক দুই বিদেশি তারকা

বিপিএলে ফাইনালে তামিমের টর্নেডো সেঞ্চুরিতে ১৯৯ রানের বিশাল স্কোরের টার্গেট দেয় কুমিল্লা। আর জবাবে ব্যাট করেত কোন রান করা আগেই উইকেটের পতন হয়। তবে দুর্দান্ত ব্যাট করেছে ঢাকা ডায়নামাইটসের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেই পথে হাঁটতে পারেননি। তাহলে হয়তো জয় পাওয়া খুব একটা কঠিন ছিল না।

শুরুতে ম্যাচটা মনে হচ্ছিল একপেশে। কেননা তামিমের অসাধারণ সেঞ্চুরির পর এ ম্যাচে পথ না হারালে ঢাকা ডায়নামাইটসই জয় পেত অনায়াসে। বিশেষ করে রনি তালুকদার-থারাঙ্গা জুটির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৮.৪ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে দলীয় ১০০ রান পার করে তখন মনে হচ্ছিল সাকিবের নেতৃত্বাধীন ঢাকা ডায়নামাইটস এবারও শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে।

কিন্তু ঘটনার মোর ঘটলো তখনি, যখন নবম ওভারের শেষ বলে থিসারা পেরেরার বলে আউট হয়ে উপুল থারাঙ্গা সাজঘরে ফিরে গেলেন। তারপরও রনি তালুকদারের চার-ছক্কার ঝড় থামেনি। ১১ ওভারের শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ১২০। তবে ১২তম ওভারে বল করতে এসেই সাকিবকে ফিরিয়ে দিয়ে বাজিমাত করেন ওয়াহাব রিয়াজ।

এরপরে কুমিল্লা শিবিরে হাসির ফুল ফুটতে থাকে। এবার ১৩তম ওভারে আফ্রিদির করা প্রথম বলে রান নিতে গিয়ে এনামুল হকের অসাধারণ থ্রোতে ফিরে যান ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা রনি তালুকদার। যাওয়ার আগে ৩৮ বলে ৬৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলার পথে তিনি ছয়টি চার ও চারটি দর্শনীয় ছক্কা হাঁকিয়ে যান রনি।

১৬তম ওভারে আবার ওয়াহাব রিয়াজ ফিরিয়ে দেন পোলার্ডকে। এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি সাকিব বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ১৭ রানে হেরে যায় ঢাকা। দ্বিতীয় শিরোপা পেল কুমিল্লা।

এ জয়ে নায়ক হিসেবে ছিলে দুই বিদেশি তারকা পেসা। ওয়াহাব রিয়াজ ও থিসারা পেরেরা। ওয়াহাব রিয়াজ ৪ ওভারে ২৮ রানে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নেন। আর থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে পান মূল্যবান দুটি উইকেট।

ম্যাচ শেষে বিজয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস কৃতিত্ব দিলে বিদেশি দুই পেসারকে।

ইমরুল কায়েস বলেন, আমরা ঢাকার ইনিংসের প্রথম পাওয়ার প্লেতে আমরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। তবে থিসারা ও ওয়াহাব রিয়াজ আমাদের দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে।

ফাইনালে হেরে যাওয়া ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কণ্ঠেও একই সুর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রাও লড়াই করেছে, কিন্তু আমরা লড়াইয়ে সফল হইনি। কারণ ওদের ওয়াহাব রিয়াজ ও থিসারা আমাদের মিডল অর্ডারকে আটকে ফেলেছিল। যেখানে ১২০ ছিল দুই উইকেটে সেখানে ১৪৩ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারালাম আমরা। আর সেখান থেকে জয় পাওয়ার উপায় ছিল না।’