ক্ষমা চেয়ে, মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেল ‘ডিজিটাল ভাদাইমা’

বর্তমানে শর্টফিল্মের নামে অশ্লীল ভিডিওচিত্র তৈরি করে ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সেগুলো প্রচার করে যুব সমাজকে বিপথগামী করার অভিযোগে ‘ডিজিটাল ভাদাইমা’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের সংশ্লিষ্ট তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর অশ্লীল শর্টফিল্মের ভিডিও আর ছাড়বেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ইউটিউব চ্যানেল মর্ডান ভাদাইমা সংশ্লিষ্ট তিনজন। এমন কাজের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

গতকাল সোমবার রাতে তারা পুলিশের কাছে মুচলেকা দেন ও ক্ষমা চান। এর আগে গতকাল বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর থেকে তাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের মিন্টো রোডের কার্যালয়ে আনা হয়।

এ ব্যাপারে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্যারের নেতৃত্বে নিরাপদ ইন্টারনেট ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ভাদাইমা সংক্রান্তে ভাদাইমা চয়েস এর অভিনেতা, চ্যানেলের এডমিন ও মালিকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বিকেল ৫টায় বিজয়নগর থেকে সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের অফিসে আনা হয়েছিল। আমরা তাদের অপরাধ খতিয়ে দেখেছি।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাই অনুতপ্ত এবং তারা সাইবার ক্রাইম ইউনিটে মুচলেকা দিয়েছে যে তারা কখনও আর এ ধরনের ভিডিও উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ করবে না। সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখবে। কাউন্সেলিং শেষে তারা রাত ৯টায় অত্র অফিস ত্যাগ করে। যারাই ইন্টারনেটকে কলুষিত করবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। রেশমী অ্যালেন ও ভাদাইমাসহ অন্যান্য অনেকেই এই তালিকায় রয়েছে।’

এদিকে মডার্ন ভাদাইমা তোফাজ্জল ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘অশ্লীল অনেক কিছু করেছি। সে সুবাদে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ছোট মানুষ, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। বাংলাদেশে অনেক ভাদাইমা আছে যারা অশ্লীল ভিডির সঙ্গে জড়িত তাদের বলব এ সমস্ত অশ্লীল কাজগুলো বন্ধ করেন। এগুলো সমাজের জন্য ক্ষতিকর।’

তাছাড়া ভাদাইমা চ্যানেলের মালিক মো, এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ভাদাইমার ভিডিও পরিচালক সবুজ আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে আর এগুলো করব না।’