চিটাগংকে বিদায় করে ফাইনালের পথে ঢাকা

জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেই তাণ্ডব চালাতে থাকে সুনিল নারিন। চার ওভারে চারজন বোলার ব্যবহার করেও কোনই উইকেট পাচ্ছিলেননা। তবে পঞ্চম ওভারে আরেক বোলাকে ব্যবহার করেই সাফল্য পায় চিটাগং। ৪৪ রানের মাথায় খালিদের বলে হাতে ধরা পরে ফিরে যান নারিন। ১৬ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান তিনি।

এর পর ১৩ বলে ২০ রান করে ফেরে রনি তালুকদার। কোন রান করেননি সাকিব। তবে অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা থারাঙ্গা ঠিকই তার অর্ধশতক তুলে নেন। ৪১ বলে তুলে নিলেন নিজে অর্ধশতক। মেরেছেন ৭টি চার। ৪৩ বলে ৫১ রান করে নাইমের বলে ফিরে যান তিনি।

এরপর নুরুল হাসান ও পোলার্ডের ব্যাটিয়ে সহজ জয় পায় সাকিবের ঢাকা। ১৬.৪ বলে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ঢাকা। নুরুল হাসান ২০ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর পোলার্ড করেন ৭ বলে ৭ রান।

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে আজ সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হয় ঢাকা ডায়নামাইটস ও চিটাগং ভাইকিংস। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হয় ম্যাচটি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল চিটাগং। কিন্তু ইয়াসিরকে মাঠে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি রুবেল। মাত্র ৮ রান করে উইকেটকিপার সোহানের হাতে ধরা পড়ে ফেরেন তিনি।

এরপর ৩৬ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে সাঝঘরে ফেরেন ডেলপোর্ট। এরপর ৮ রান করে নারিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। এরপর নারিনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে শুভাগত হোমের হাতে ধরা পড়েন সাদমান। ২৪ রান করে ফেরেন তিনি।

এরপর ৭ রান করে অনিকের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শানাকা। এরপর নারিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শুভাগত হোমের হাতে ধরা পড়েন ফ্রাইলিঙ্ক। ১ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ১ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে নারিনের তৃতীয় শিকার হন ভিলজয়েন।

এরপর ৪০ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক। অন্যদিকে নাঈম ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরই ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে চিটাগং। এরপর ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় পায় ঢাকা।

এ জয়ের ফলে ফাইনালে পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হেরে যাওয়া দলে সঙ্গে লড়বে সাকিব বাহিনী। আর ওই ম্যাচে জিতলেই প্রথম কোয়ালিফায়ার জেতা দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে ঢাকা।

ঢাকা ডায়নামাইটস একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, সুনীল নারিন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, কাইরন পোলার্ড, শুভাগত হোম, আন্দ্রে রাসেল, কাজী অনিক, রনি তালুকদার, রুবেল হোসেন।

চিটাগং ভাইকিংস একাদশ: ক্যামেরন ডেলপোর্ট, ইয়াসির আলী, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, দাসুন শানাকা, হারদুস ভিলজয়েন, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ।