জাহালমের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে দুদক কমিশনারের সিদ্ধান্ত

ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় নিরীহ পাটকল শ্রমিক জাহালমকে বলির পাঁঠা বানানোর পর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবার আবু সালেককে দোষারোপ করছে। এ ব্যাপারে গতকাল দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবু সালেক এনআইডি প্রকল্পে (নির্বাচন কমিশনের) কাজ করতেন। এ কারণেই তার দ্বারা জালিয়াতি করা সহজ ছিল। তিনি জাহালমের একটি ছবি পান যা দেখতে তারই অনুরূপ। তাই ব্যাংক একাউন্টে তিনি জাহালমের ছবি ব্যবহার করেন।’

এদিকে জাহালমের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তাই আমরা মেনে নেবো।’ এদিকে ইউএনবি’র প্রতিবেদন বলছে- গতকাল তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাহালমের দীর্ঘ কারাবাসের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ সময় দুদক কমিশনার আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক যে কোন অপরাধ না করেও জাহালমকে দীর্ঘ তিনবছর কারাভোগ করতে হয়েছে।’ গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে নাটক পরিচালকদের সংগঠন ফিল্ম ডিরেক্টরস গিল্ড’র সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে ওই দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মূল অভিযুক্তের পরিবর্তে কারাভোগ করে আসছিলেন জাহালম। হাইকোর্টের নির্দেশের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ছাড়া পান। সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও, এ ঘটনায় মুল অভিযুক্ত আবু সালেক এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়েছেন।

দুদক কমিশনার বলেন, ‘এই ঘটনাটিতে যে কোনো ধরনের অবহেলা ছিলো না তা নয়। তবে, যখনই বিষয়টি দুদকের নজরে এসেছে তখনই জাহালমের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ তুলে নিতে আদালতের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।’ গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি প্রথম তার নজরে আসে এবং এ নিয়ে তারা অধিকতর তদন্ত শুরু করেন বলেও জানান তিনি।

দুদক কমিশনার বলেন, ‘অধিকতর তদন্তে নেমেই এই অর্থ জালিয়াতির সঙ্গে আবু সালেকের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক।’